অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম হিটু ও আওয়ামী লীগ নেতা শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকুর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে। রোববার (১৫ জুন) রাত ৯টার দিকে পৌর এলাকার কবিরপুর খাদ্যগুদাম ও খালধারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মনিরুল ইসলাম হিটু ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। আর শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ একদল লোক শৈলকূপা পৌর এলাকার কবিরপুরে বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম হিটুর বাড়িতে হামলা চালায়। হিটু কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর সমর্থক। পরে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে দুর্বৃত্তরা খালধারপাড়া এলাকায় হাকিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকুর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার সময় সিসি ক্যামেরা, বসতবাড়ির জানালা, দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শৈলকুপা শহরের একাধিক বাসিন্দা জানান, শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। আওয়ামী লীগ শাসনামলে এলাকায় মুর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও তার আঁচ পড়েনি সন্ত্রাসী ইকুর ওপর। এখনও প্রকাশ্যে ঘুরছেন তিনি। এমনকি ঠিকাদারি ব্যবসাও করছেন।
বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম হিটু অভিযোগ করেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজের নেতৃত্বে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজির উদ্দিন ভল্টার ছেলে যুবদল নেতা হাসান মাহমুদ পলাশ ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইদুর রহমান মিঠু দলবল নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে এসেছিল। আমাকে না পেয়ে তারা বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা-ভাঙচুর করেছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ন বাবর ফিরোজ। তিনি বলেন, আমি জরুরি কাজে বাইরে রয়েছি। আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, এ ধরনের ঘটনার কথা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করছে।