December 21, 2025, 6:56 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরের জনজীবন শীতে স্থবির মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকারের জানাজা অনুষ্ঠিত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইসির সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান বৈঠক অনুষ্ঠিত সুদানে নিহত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকলেও আমলে নেওয়া হয়নি : সালাহউদ্দিন আহমদ হাদির হত্যাকারী দেশের বাইরে চলে গেছে কি না এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই : পুলিশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ কাটা বন্ধে বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা উদ্বোধন সিরাজগঞ্জে বরের জুতা লুকানো নিয়ে সংঘর্ষ-ভাঙচুর-লুটপাট ; ভেঙে গেলো বিয়ে লালমনিরহাট সীমান্তে বিজিবির হাতে বিএসএফ সদস্য আটক পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীত ও ঘন কুয়াশায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন
এইমাত্রপাওয়াঃ

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে ৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ে মামলা দায়ের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধভাবে অর্জিত ৬৭৮ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। এ জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সিআইডি ঢাকার ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আর্থিক লেনদেন, নথিপত্র ও ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় বাজার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে। প্রাথমিক তথ্য–প্রমাণে চোরাচালান ও উৎসহীন অর্থের সত্যতা মিললে গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ১৪ টাকার মানিলন্ডারিং মামলা রুজু করা হয়।

অসীম উদ্দিন খান বলেন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা (৫৭) দীর্ঘদিন ধরে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী পরিচয়ে দেশে-বিদেশে স্বর্ণ ও হীরা ব্যবসার আড়ালে অর্থ পাচার ও চোরাকারবারি করে আসছিলেন।

অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি এলসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে মোট ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার ১১ টাকা ৫২ পয়সা মূল্যের স্বর্ণবার, অলংকার, লুজ ডায়মন্ড ও অন্যান্য দ্রব্য বৈধভাবে আমদানি করে। একই সময়ে স্থানীয় বাজার থেকে কেনা বা বিনিময় পরিবর্তন পদ্ধতিতে ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ১৪ টাকার স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করা হয়। তবে এর উৎস বা সরবরাহকারীর বৈধ কাগজপত্র প্রতিষ্ঠানটি সিআইডিকে দেখাতে ব্যর্থ হয়। বৈধ নথি না থাকায় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে সিআইডি।

সিআইডির মুখপাত্র বলেন, চোরাচালানে অর্জিত সম্পদ ও অপরাধলব্ধ অর্থ রূপান্তর, হস্তান্তর বা ব্যবহার সংক্রান্ত নথি পর্যবেক্ষণে মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে অনুসন্ধান প্রতিবেদন সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপির কাছে দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে ১৬ নভেম্বর ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মামলা দায়েরের অনুমোদন পায়।

তিনি আরও জানান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং মামলা সিআইডির তফসিলভুক্ত হওয়ায় তদন্ত সিআইডিই করবে। প্রয়োজনীয় নথি, ব্যাংক লেনদেন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য যাচাই করে আইন অনুযায়ী নিবিড় তদন্ত শুরু হবে।

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page