November 12, 2025, 11:04 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে দুইদিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন আগামী বছর হজ করতে পারবেন সাড়ে ৭৮ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকতে সেনাপ্রধানের আহ্বান আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দিল দ. কোরিয়া গত অক্টোবরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মতবিনিময় সভা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নাকফুল- আংটি-বদনা ফিরে পেলেন বাগেরহাটের শ্রাবণী বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাটে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার চাঁদপুরে পাঁচটি পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এইমাত্রপাওয়াঃ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার অনেক কমে এসেছে : আইনমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘যেসব জায়গায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপব্যবহার হতো, সেসব জায়গায় আমরা প্লাগিং করার চেষ্টা করেছি। করোনার সময়ের পর এটা এখন অনেকটাই কমে এসেছে। অনেকাংশেই কিন্তু এখন গেলে মামলা আর নেয় না।’

এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবুর সঞ্চালনায় শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে বৈঠকটি শুরু হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘এক. চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইলো। দুই- রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জন শৃঙ্খলা, শালীনতা, নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনের প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের ধারা যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা অধিকারের এবং সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইলো’। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কিন্তু বাক স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য হয়নি। বিশ্বে এখন ডিজিটাইজেশন হচ্ছে, পেনাল কোডের ধারায় চুরি! এটি হতো আগে ফিজিক্যালি, এখন যেই মুহূর্তে চুরি ডিজিটালি হওয়া শুরু করলো তখন এটাকে কি ফিজিক্যাল আইনে পেনাল কোডের ধারায় শাস্তিযোগ্য করা যাবে? পারবেন না। পেনাল কোডের অনেক ধারাতেই ডিজিটাল মাধ্যমে অবমাননার কথা নেই। যার জন্য এসব বিষয়কে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এই আইনটি খসড়া করেছিল আইসিটি বিভাগ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ে আসার পর যখন ভেটিং হচ্ছিল। তখন একটা প্রশ্ন তোলা হয়েছে– সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমি তখন বললাম– এই আইন একটা পর্যায়ে চলে গেছে। আমরা যখন সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এই আইন তুলবো , আপনারা যা যা বলবেন সেখানে বলবেন এবং সেই আলোকে আমরা চিন্তা ভাবনা করবো। ওনারা আসার পর কিছু কিছু বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া, সাজা কমানোর বিষয়ে আলোচনার পর সবাই কিন্তু রাজি হলেন যে– এই আইনের প্রয়োজন আছে। এই আইনের যেহেতু প্রয়োজন আছে এটি আইন করা হোক। সেই কারণে আইন বানানো হয়েছে। ২০১৮ সালে এই আইন হওয়ার পর ২০১৯ সালে করোনা শুরু হওয়ার আগে আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি যে এই আইনের কিছু কিছু অপব্যবহার ও হয়রানি হয়েছে। এই অপব্যবহার ও হয়রানি বন্ধ করার জন্য আমরা সচেষ্ট।’

বিভিন্ন দেশের আইন পর্যালোচনা করা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গুড প্র্যাক্টিসেস নিয়ে এখনও আলাপ করছি। একই সময়ে হয়তো বলবেন– আলোচনা করা হচ্ছে কিন্তু আইনের তো অপব্যবহার হচ্ছে। আমি এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বসেছি, আমরা একমত হয়েছি যে– এই আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকদের আগেই গ্রেফতার করা হবে না, পাশপাশি যে কেউ মামলা করুক না কেন সেটাকে এই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে না। যে অভিযোগগুলো আসছে সেগুলো ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে ধারাগুলো আছে সেগুলোর কমপ্লেইন কিনা, নাকি হয়রানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখার জন্য আইসিটি অ্যাক্টের একটি সেল আছে। সেই সেলটিকে কার্যকর করে এই অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কোনও ধারার মধ্যে পড়ে কিনা, সেটা দেখে তারপর যখন কোর্টে কিংবা থানায় পাঠানো হবে তখনই এটা মামলা হিসেবে রুজু করা হবে। এই যে একটা ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছি আমরা। এখন আমি তো কোর্টকে বলে দিতে পারি না যেহেতু বিচার বিভাগ স্বাধীন। সাইবার ক্রাইমের যে ট্রাইব্যুনাল সেখানে প্রসেকিউশনে বলে দেওয়া হয়েছে যে প্রথমেই যেন ওয়ারেন্ট দেওয়া না হয়, সমন জারি করা হোক। যাতে করে তিনি (অভিযুক্ত) আদালতে আসেন, তার বক্তব্য বলেন।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, এডিটর্স গিল্ডের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা, মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, সংস্কৃতিজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, কবি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সোহরাব হাসান, আর্টিকেল-১৯-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ফারুক ফয়সাল,  বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমেদ সায়মন।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page