March 10, 2025, 7:31 am
শিরোনামঃ
বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ২ ফ্ল্যাট, ৩১৫ একর জমি জব্দ মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ হিজবুত তাহরীরের ৫ সদস্যকে কারাগারে প্রেরণ ঝিনাইদহে কৃষকদের ‘অবহিতকরণ-পরিকল্পনা প্রণয়ন-মূল্যায়ন’ বিষয়ক কর্মশালা চট্টগ্রামে ৩৯ ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী’ গ্রেফতার  নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরাইলি গণহত্যায় ৪০ জনেরও বেশি বন্দী নিহত : নিউ ইয়র্ক টাইমস মুক্তি পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ; আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল সিরিয়ার সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল লেবাননের হিজবুল্লাহ
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ার কারণ দেরিতে হাসপাতালে আসা : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক দেরি করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার কারণেই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুটা বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েচেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।

তিনি বলেন, ‘ আমরা মৃত্যুর কারণ জানার জন্য ডেথ রিভিউ শুরু করেছি। আমাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী,  চিকিৎসার জন্য দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি। রোগীরা একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসছেন। তখন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।’

আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফর বলেন, ‘দেরিতে হাসপাতালে আসার কারণে ডেঙ্গু রোগী খুব অল্প সময়ে শকে চলে যাচ্ছে। রোগীদের পেটে ও ফুসফুসে পানি আসছে। এমন একটা সময়ে তারা হাসপাতালে আসছেন, যখন আর তাদের জন্য কিছু করা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুতে বেশি মারা যাচ্ছে ঢাকায়, যাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর। তবে চট্টগ্রামে শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যুহার তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হলো ডেঙ্গু হলে মানুষ গুরুত্ব কম দিচ্ছে, তাই মৃত্যুটা বাড়ছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ডেঙ্গুর পাশাপাশি দেশে চিকনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জিকা ও চিকনগুনিয়া নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই। জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশর ক্ষেত্রেই কোনো লক্ষণই দেখা যায় না। এছাড়া এই রোগে মৃত্যু হার শূন্য। তবে এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ বলেন, ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা মূলত গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলোতে হয়ে থাকে। সাধারণত ডেঙ্গু রোগটি শহরাঞ্চলের একটি রোগ, তবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে এ বছর এখন পর্যন্দ (১ ডিসেম্বর) ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯২ হাজার ৩৫১ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৯৪ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু রাজধানী ঢাকায় বেশি উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে সর্বমোট মৃত্যুর ১ হাজার ১৬৩ জনই ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা, তবে এ বছর রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৯ জনের। গত বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ১২৪ জনের, এ বছর মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। গত বছর খুলনা বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ২০৬ জনের, এ বছর মারা গেছে ২৭ জন।

এছাড়া বরিশালে গত বছর ১২৫ জন এবং এ বছর ৫৬ জন, ময়মনসিংহে গত বছর ৬০ জন এবং এ বছর ১৩ জন, রাজশাহীতে গত বছর ১৬ জন এবং এ বছর ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত  হয়ে মারা গেছেন। এ বছর সিলেটে ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যু হয়নি। গত বছর সেখানে ১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রংপুরে গত বছর ১০ জন মারা গিয়েছিল, এ বছর মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।

আজকের বাংলা তারিখ

March ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Feb    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  


Our Like Page