অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও পাশবর্তী মেট্রোপলিটন শহর গাজীপুরে গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণের পৃথক ঘটনায় শিশুসহ ২৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে গেন্ডারিয়ায় গ্যাস লাইনে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে গ্যাসের লাইনে কাজ করার সময় লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন।
ঘটনার পরে দগ্ধ অবস্থায় দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুসহ দগ্ধদের হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার দক্ষিণ জরুন এলাকায় একটি কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কারখানার কমপক্ষে ১৬ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
সোমবার সকালে মন্ডল গ্রুপের কটন বিডি কারখানায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মহানগরের কাশিমপুর থানার দক্ষিণ জরুন এলাকায় মন্ডল গ্রুপের কটন বিডি কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, কারখানার তিন শ্রমিকসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন– ক্লিনার ফজলু (৫৫), নিরাপত্তাকর্মী সোহেল (২৫), চান মিয়া (২৮), সুইং অপারেটর সবুর (৩০), নিরাপত্তা ইনচার্জ কামাল (৫২), আবুল হোসেন (৪০), ইলেক্ট্রিসিয়ান আরিফুল ইসলাম (২৫), রাকিব (৩৫), রাসেল (৩৫), রাকিব (৩০), লাইন চিফ হারুন-অর রশীদ (৩৫), মানবসম্পদ কর্মকর্তা তসিরুল (৪০), স্যাম্পলম্যান আল আমিন (৩০), কোয়ালিটি ব্যবস্থাপক আসলাম হোসেন (৩৫), শ্রমিক ফজলুল হক (৩৫), খোকন (৩০) ও আব্দুল হক (৩০)। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন কারখানার মহাব্যবস্থাপক ।
তিনি আরও জানান, মে দিবসে বন্ধের দিন থাকায় কারখানার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। কারখানা বন্ধ থাকায় গ্যাসলাইনে চাপ (প্রেসার) বেড়ে যায়। এতে গ্যাস সরবরাহ কক্ষের একটি বাল্ব লিকেজ থেকে ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পৌঁছে দগ্ধ কাউকে পাওয়া যায়নি, কারন কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিভিয়ে দগ্ধদের ঢাকায় বার্ণ ইউনিটে পাঠিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের ধারণা, গ্যাস লাইনের ওভারফ্লো থেকে বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটতে পারে।
Leave a Reply