অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হলের গেটে তালা লাগাতে এসে ছাত্রদলের দুই নেতা ছাত্রলীগের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে তাদের শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার হওয়া ছাত্রদলের দুই নেতা হলেন- শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও অমর একুশে হল শাখা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম খান।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানায়, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থান ও টহল দিচ্ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় তালা লাগাতে আসা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের কয়েকজন পালিয়ে যায়। এসময় ছাত্রলীগের হাতে আটক হন দুই ছাত্রদল নেতা। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস প্রতিহত করতে তারা ছাত্রদলের এ দুই নেতাকে ‘শিক্ষা’ দেয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ককটেল উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছেন তারা।
আটক ও মারধরের শিকার হওয়া ছাত্রদলের দুই নেতা জাগো নিউজকে বলেছেন, অবরোধের অংশ হিসেবে এখানে আমাদের কর্মসূচি পালন করছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ধরে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করে। আমাদের একজনের পা, আরেকজনের মুখ থেঁতলে দেয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর করে। আমাদের কাছ তালা ছাড়া আর কোনো কিছু ছিল না। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের মোবাইল, মানিব্যাগ কেড়ে নেয়।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সদস্যরা আসেন। তারা এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্ধার করে কার্জন হল গেটের সিকিউরিটি রুমে রাখেন। খবর দিলে শাহবাগ থানার পুলিশ এসে ছাত্রদল নেতাদের নিয়ে যায়।
এসময় উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. এম এল পরাশ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে এখানে এসে তাদের উদ্ধার করি। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের কাছে তাদের তুলে দেওয়া হয়।
ককটেল পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ছাত্রদল নেতাদের কাছে ককটেল পাননি বলে জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত জাগো নিউজকে বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস করতে এলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের নিরীহ দুই নেতার ওপর হামলা করে। এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও ছাত্রলীগের মতো আচরণ করছে।