অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লিবিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, চারজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং তিন জন ক্রুসহ মোট আট জন মঙ্গলবার রাতে এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের বহনকারী বিমানটি তুরস্কের আঙ্কারা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিধ্বস্ত হয়। তুরস্কের রাজধানী এবং ত্রিপোলির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া জানান, তুর্কি নিরাপত্তা কর্মীরা আঙ্কারার কাছে হাইমানা জেলায় লিবিয়ার সেনা প্রধানকে বহনকারী ফ্যালকন ৫০ বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন। এতে তিনজন ক্রুও নিহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ দবেইবাহ তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘গভীর শোক ও গভীর দুঃখের সাথে আমরা লিবিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আল-হাদ্দাদের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি।’
লিবিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াশার গুলার এবং তুর্কি সেনাপ্রধান সেলচুক বায়রাকতারওগুলার সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছিলেন। বৈঠকের পর ত্রিপোলি ফেরার পথে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।
ইয়েরলিকায়া এক্স-এ বলেন, হাদ্দাদ-এর বিমানটি আঙ্কারার এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে ১৭১০ গ্রিনিচ মান সময়ে উড্ডয়ন করে এবং ৪২ মিনিট পরে ‘যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়ে।
মন্ত্রী বলেন, বিমানটি আঙ্কারা থেকে ৭৪ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) দূরে হাইমানার কাছে জরুরি অবতরন করতে চেয়ে সাহায্য চায়। কিন্তু যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা যায়নি।
একজন ঊর্ধ্বতন তুর্কি কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, বিমানটি উড্ডয়নের ১৬ মিনিট পরে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করা হয়।
বিমানটিতে হাদ্দাদ, তার চারজন সহকর্মী এবং তিনজন ক্রুসহ মোট আট জন আরোহী ছিলেন।