বোখারী শরীফে বর্ণিত হইয়াছে, আল্লাহ তা’আলা হযরত রসুলুল্লাহ (সঃ)- কে বন্ধু হিসাবে সম্বোধন করিয়াছেন। হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) যখন মে’রাজ শরীফে তাশরীফ নিয়া আল্লাহর সম্মুখে হাযির হইয়াছিলেন, তখন আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করিয়াছিলেন ঃ হে আমার প্রিয় বন্ধু! দুনিয়ায় প্রচলিত রেওয়াজ আছে যে, কোন লোক তাহার বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে গমন করিলে সঙ্গে কোন বস্তু উপঢৌকন স্বরূপ নিয়া যায়, তাই আপনি আমার জন্য কি উপঢৌকন নিয়া আসিয়াছেন?
জবাবে হযরত রসুলুল্লাহ (সঃ) বলিলেন ঃ হে আমার প্রিয় মা’বুদ! আমার এমন কি বস্তু আছে যে, যাহা আপনাকে উপহার দিতে পারি? হ্যাঁ! তবে আমি আপনাকে এমনি একটি বস্তু উপহার পেশ করিতেছি, যাহা কোন দিন কেহ আপনাকে উপহার পেশ করে নাই। আমি আমার সকল উম্মতের পাপ সমূহ আপনাকে উপহার স্বরুপ প্রদান করিতেছি। এই বস্তু ব্যতীত আপনাকে উপহার দিবার মত আমার কাছে আর কোন কিছুই নাই।
তখন মহান রাব্বুল আ’লামীন সন্তুষ্ট হইয়া বলিলেনঃ যে আমার প্রিয় বন্ধু! আমি আপনার উপহার খুশীর সহিত গ্রহণ করিলাম। আর আমিও আপনাকে ও আপনার উম্মতগণকে একটি বস্তু উপহার দিলাম; উহা এই যে, আপনি ও আপনার উম্মতগণকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও বৎসরে রমজান মাসের রোজা পালন করিতে হইবে। (মহান আল্লাহ প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ নির্ধারণ করেছিলেন, নবীজী (সাঃ) এর ৯ বারের আপিলে মহান আল্লাহ তা কোমিয়ে ৫ ওয়াক্ত নির্ধারণ করেছেন)। যেই লোক আমার প্রদত্ত¡ এই উপহার খুশী মনে গ্রহণ করিবে এবং যত্নের সহিত আমল করিবে, তাহার জীবনের সমস্ত গুণাহ ক্ষমা করিয়া দিবার দায়িত্ব আমি (আল্লহ) গ্রহণ করিলাম। (বোখারী শরীফ)
Leave a Reply