গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে রাজধানী ঢাকার পূর্বাচলে লাখো মানুষের সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা, যা একজন মা দেখেন। অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন মানুষ নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারে ও ঘরে ফিরে আসতে পারে।”
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কের গণসংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্যে তারেক রহমান জানান, তিনি সকলের সহযোগিতায় একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেন, “একজন মানুষ যেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারে এবং নিরাপদে ফিরে আসতে পারে।”
তিনি দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। শহীদ ওসমান হাদিকে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, “ওসমান হাদি চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ৭১ এ যারা শহীদ হয়েছে, ২৪ এ যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”

সংর্বধনা অনুষ্ঠানের একাংশ
তারেক রহমান আরও বলেন, “আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে পাহাড়ের, সমতলের, মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, পুরুষ, শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে, যেন নিরাপদে ফিরতে পারে।”
মার্টিন লুথার কিং–এর ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ উক্তির উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান।’ দেশকে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “আমার একটি পরিকল্পনা আছে, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।”
তারেক রহমান এ সময় মা বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর ৩০০ ফিটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বাসে তারেক রহমান
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘বিজি ২০২’ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ পেরিয়ে মাটি ছুঁয়ে দেশের মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেন তারেক রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
বিমানবন্দর থেকে সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে তারেক রহমানের সময় লেগেছে সোয়া ৩ ঘণ্টা। মঞ্চে ওঠার পর তারেক রহমান সবার অভিবাদনের জবাব দেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সকাল থেকেই রাজধানী ও আশপাশের জেলা থেকে আসা লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ৩০০ ফিট এলাকা এক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। মঞ্চে ওঠার পর তারেক রহমান হাত নেড়ে জনতাকে অভিবাদন জানান।