অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আবদুল কাদের মিলন (৩৭) নামে এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে চর পার্বতী ২নং ওয়ার্ডের হাজারী হাটের পূর্ব পাশে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে গণপিটুনি দিয়ে ফেলে রেখে যায়।
নিহত আবদুল কাদের মিলন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ডের মো. ইসমাইলের ছেলে।
গত ৫ আগস্টের পর বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের দাবি, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও যুবদলের নেতাদের আশ্বাসে বাড়ি ফিরছিলেন মিলন। এরপর শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আব্দুর রহীম এতিমখানার সামনে তাকে পেটানো হয়।
নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রহীম রাকিব বলেন, ভাই শুক্রবার রাতে আমার অটোরিকশায় ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় তার অসুস্থ শ্যালককে দেখতে যান। রাত ৯টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে কোম্পানীগঞ্জের চুয়ানির টেক এলাকায় দু-তিনটি মোটরসাইকেলে লোকজন আমাদের ধাওয়া করে। এ সময় মিলন ভাই তার মামাশ্বশুর যুবদল নেতা মাইন উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। এর মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহীরা আমাদের ধরে ফেলে। পরে হামলাকারীরা ভাইকে চরপার্বতী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আব্দুর রহীম এতিমখানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।পরে শনিবার ঢাকার নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আবদুল কাদের মিলনের স্ত্রী বিবি জুলেখা বলেন, আমার স্বামী মৃত্যুর আগে হামলার সঙ্গে জড়িত ২০-২৫ জনের নাম বলে গেছেন। তারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান রিপন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো লোক জড়িত না। গত ১৫ বছর মিলন এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তার হাতে নিষ্পেষিত লোকেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের শিকার হয়েছে সে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, জামায়াত-বিএনপির লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, শনিবার সকালে ঢাকা নেওয়ার পথে মিলন মারা যান। এই ঘটনায় কেউ এখনও থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।