অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে তিন পুলিশ ও বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূজাখোলায় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহআলম শানু বলেন, ‘বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খানকার মাঠ এলাকা থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি দশমিনা আদালতের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিক্ষোভ শুরু করেন নেতাকর্মীরা। তারা মিছিল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান। পূজাখোলা এলাকায় পৌঁছালে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। সেইসঙ্গে লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে তাঁতী দলের কর্মী ইব্রাহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সায়াদ রনি, আবদুর রহিম, আক্কাস, বিএনপির কর্মী আবু তাহের, সুজন ও শান্তসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদের পটুয়াখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালীর গলাচিপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোরশেদ তোহা বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা পূজাখোলা এলাকার রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে বাউফল উপজেলার সঙ্গে দশমিনার সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশ সদস্য নাজমুল, জাকির ও সিকাতুর আহত হন। পুলিশের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করবে পুলিশ।’
তবে পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার মো. ইফজিয়াস উদ্দিন জয় বলেন, ‘আজকের কর্মসূচির জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় পুলিশ। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হন। হামলার পর আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের এই হামলা ও আটকের তীব্র নিন্দা জানাই।’
Leave a Reply