অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পটুয়াখালী উপজেলার কুয়াকাটা পৌর এলাকায় খাল ভরাট করে রাতের আধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আবাসন ব্যবসায়ী ডিবিএল কোম্পানির বিরুদ্ধে। এমন কী সরকারি জমির দখল ঠেকাতে গেলে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ মে) সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন নির্মাণাধীন বাউন্ডারি ওয়ালের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তাৎক্ষণিক সরকারি জমি চিহ্নিত করে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মাঝি বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় একত একর ৩২ শতাংশ সরকারি খাস জমি দখল করে রাতের আধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে দখলে নেয় আবাসন কোম্পানি বিডিএল। যেখানে আগে পানি নিষ্কাশনের খাল ছিল। ওই খাল ভরাট করে আগেই দখলে নেয় তারা।
স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ভূমি কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজ একাধিকবার বন্ধ করে দেয়। বাধা অমান্য করে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ওই কোম্পানিটি রাতের আধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ডিবিএল কোম্পানির দুই পাহারাদারকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিবিএল কোম্পানি খাল ভরাটের পাশাপাশি অপর একটি খালের মাঝখানে বিশাল বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে ইতিমধ্যে দখলে নিয়েছে। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার সরকারি জমি দখলের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা বারেক শরীফ, জাহিদ শরীফ, নজরুল শরীফ, ধলু খলিফা, আজিজ খলিফাসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, ডিবিএল কোম্পানি সরকারি খাল ভরাট করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করছিল। এ সময় বাধা দিলে তাদেরকে মামলাসহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে মহিপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতে গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বললে ওই কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ডসহ কয়েকজন তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। দেওয়া হয় হুমকি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ডিবিএল কোম্পানি খাল ভরাট করে এক একর ৩২ শতাংশ সরকারি খাস জমি দখল করে নেয়। রাতের আধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে। বর্তমানে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ডিবিএল কোম্পানি কোন অনুমোদন ছাড়াই বাউন্ডারি ওয়ালসহ জমির আকার আকৃতি পরিবর্তন করে। যা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে করা হয়েছে। ওই জমিতে লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply