অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় ১০টি জাহাজ। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব জাহাজ থেকে চাল, ডাল, গম, চিনিসহ খাদ্যপণ্য শুল্কায়ন ও খালাসে অগ্রাধিকার দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। চলমান সঙ্কট নিরসনে এর প্রভাব পড়বে বলে ধারণা বন্দর কর্তৃপক্ষের।
১২ হাজার ৮১ মেট্রিক টন চাল নিয়ে ভারত থেকে এসেছে ব্লু লোটাস। খালাসের অপেক্ষায় অবস্থান চট্টগ্রাম বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে। অল্প দূরেই ৮ নম্বর জেটি। যেখানে মাল খালাসে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। বিএমসি কেথারিন নামে জাহাজটিতে রয়েছে ২১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চাল।
অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে খাদ্যশস্যের সংকট কাটাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য বলছে, গেল জুলাই মাসে আমদানি ছিল ৯৪ হাজার টন। অক্টোবরে আমদানি ৫ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫ লাখ টনে। আর চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনেই আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার টন।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, “কোনো রকম ট্রাক জট বা জাহাজ জট, লাইটার জট কিছুই নেই। বিশেষ করে খাদ্যশস্যগুলো সরাসরি ডেলিভারি হয়, এগুলো জেটিতে অবস্থান করেনা।”
এসব পণ্য খালাসে দুটি জেটি নির্দিষ্ট করে রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। অগ্রাধিকার পাচ্ছে শুল্কায়নের ব্যাপারটিও।
ওমর ফারুক আরও বলেন, “আমরা খাদ্যশস্য জাহাজকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি, এখনও তাই আছে। এছাড়া পতেঙ্গা টার্মিনালের ৩টি জেটি নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে।”
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডিসি ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, “এগুলো খুব দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।”
বঙ্গোসাগরে জাহাজ আসার সঙ্গে সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করেন কাস্টমসে। যাচাই-বাছাই শেষে পণ্য ছাড় করতে সময়ক্ষেপণের অভিযোগও রয়েছে।
একসঙ্গে এতো সংখ্যক খাদ্যপণ্যবাহী জাহাজ এর আগে খুব কমই ভিড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, চলমান সঙ্কট নিরসনে এর প্রভাব পড়বে।
Leave a Reply