অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ১৭৬০ জন বন্দির সাজা মওকুফ করেছেন। আগামীকাল (শনিবার) বহু মুসলিম দেশের সঙ্গে ইরানেও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে সর্বোচ্চ নেতা গতকাল এসব বন্দির অনেকের সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেন, আবার অনেক বন্দিকে মুক্তির নির্দেশ দেন। যেসব বন্দিকে মুক্তি কিংবা তাদের সাজা কমানো হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই আদালত ও ইসলামি বিপ্লবী ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। বিপ্লবী ট্রাইবুনালের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী।
সর্বোচ্চ নেতার পক্ষ থেকে ক্ষমা ঘোষণার আগে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেন এজেয়ি এসব বন্দির মুক্তি কিংবা সাজার মেয়াদ কমানোর বিষয়ে একটি চিঠির মাধ্যমে সুপারিশ করেন।
ইরানের সংবিধানের ১১০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার বিভাগের প্রধানের সুপারিশক্রমে সর্বোচ্চ নেতা কারাবন্দীদের মুক্তি কিংবা তাদের সাজার মেয়াদ কমানোর অধিকার রাখেন। তবে এই ক্ষমার বিষয়টি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। বিশেষ করে যেসব ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে অথবা অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানে জড়িত কিংবা ধর্ষণ, সশস্ত্র ডাকাতি, অপহরণ, ঘুষ এবং অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত তাদের জন্য এ ধরনের ক্ষমার কোনো সুযোগ নেই।
Leave a Reply