অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে তাদের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত আলোচনা করবে না বলে জানিয়েছে চীন। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ডয়চে ভেলে।
বুধবার বেইজিং জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে আপাতত তারা পরমাণু অস্ত্র সমঝোতা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করবে না। তাইওয়ানকে আমেরিকা অস্ত্র সরবরাহ করছে, এই অভিযোগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে চীন। অন্যদিকে, আমেরিকার অভিযোগ, বেইজিং রাশিয়ার পথে হাঁটছে। ক্রেমলিন এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার তাইওয়ান শাসন করে। কিন্তু চীন মনে করে, তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই সরকারের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকার সরাসরি সম্পর্ক আছে। আমেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের সরকারের অস্ত্রচুক্তি আছে। চীন যা ভালো চোখে দেখে না।
বস্তুত, চীনের অভিযোগ, আমেরিকা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহ করে, যা চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের নীতি বিরোধী। বস্তুত, গত বছর তাইওয়ানে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদল গেছিল। তা নিয়েও যথেষ্ট আপত্তি ছিল চীনের। তাইওয়ানের আকাশে তারা ফাইটার বিমান পাঠিয়ে দিয়েছিল।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই সম্প্রতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে শি জিনপিংয়ের। তারপরেই আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আলোচনা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল বেইজিং।
ওয়াশিংটন বেইজিংয়ের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি, চীন রাশিয়ার পথে হাঁটছে। এর ফলে সার্বিকভাবে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হবে। উত্তেজনা বাড়বে।
Leave a Reply