অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপিপন্থিরা ব্যালট ছিনতাই করেছে। বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা যে ঘটনা ঘটিয়েছে, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে, বিচার বিভাগের ইতিহাসে, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে কালিমা লেপন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে ও শবনম জাহান শিলা এমপির সঞ্চালনায় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য দেন।
ড. হাছান বলেন, আপনাদের মনে আছে, আগে বিএনপির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। গতকাল তারা ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে। তারা আসলে প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করতে চায়। কোনো প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলুক সেটি তারা চায় না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে যে, তারা ঢাকা বার নির্বাচনে হেরেছে। সেখানে হারার পর তারা বুঝতে পেরেছে যে সুপ্রিম কোর্টে তাদের হার নিশ্চিত। সে কারণে প্রথমে ভোট বর্জনের নাটক, পরে আবার ব্যালট পেপার ছিনতাই করলো। সুতরাং এভাবে তারা সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায়। তারা আগামী নির্বাচনকেও বাধাগ্রস্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকবে না। নির্বাচন হবে। নির্বাচন কারো জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।
সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান নির্বাচন চান না। খালেদা জিয়াও নির্বাচন চান না। কারণ উনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। উনারা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এ জন্য উনারা নির্বাচন চান না। তবে আপনাদের অনেক নেতা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও আমি বলতে পারি বিএনপির নেতারা নির্বাচন করবে। সুতরাং নির্বাচন সবাইকে নিয়েই হবে ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম নারী চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় কারাতে খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া, প্রথম নারী মেট্রোরেল অপারেটর মরিয়ম আফিজা ও প্রথম নারী ট্রেন অপারেটর আসমা আক্তারকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
Leave a Reply