অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : খাইবার পাখতুনখোয়া জেলার বান্নুর মেরিয়ান তেহসিলের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। কোটকা মুম্বাতি বারাকজাইয়ের সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। আগুনে স্কুলের সায়েন্স ল্যাব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা স্কুলের সোলার প্যানেল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গিয়েছে এবং স্কুলের সীমানা প্রাচীরও ভাংচুর করেছে। তারা প্রধান ফটকের কাছে হুমকিমূলক দেয়ালচিত্র লিখে রেখে গিয়েছে। স্কুলটিতে ক্লাস পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করলে আরও হামলার হুঁশিয়ারি দেয় হয়েছে।
জেলা পুলিশ কর্মকর্তা ইফতিখার খান বলেন, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছেন। শীতকালীন ছুটির কারণে জেলার স্কুলগুলি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এদিকে, গত বছর নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জঙ্গি হামলা বেড়ে যাওয়ার পর স্কুলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা এটিই প্রথম। তবে এ বছর খাইবার পাখতুনখোয়ায় মেয়েদের স্কুলে হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়।
২০২৩ সালের মে মাসে উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় দুটি বালিকা বিদ্যালয় উড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মসজিদে ধ্বংসাত্মক বোমা হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানিসহ ক্রমবর্ধমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করার পর এই হামলা চালানো হলো। জিও নিউজের খবরে বলা হয়, ঐতিহাসিকভাবে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) চরমপন্থীরা প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে।
Leave a Reply