অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার চেষ্টা করা হবে। সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তিনি নিজেও থাকতে চান না। পেশাদারিত্বের সঙ্গে যদি কমিটি তৈরি হয় এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সেক্ষেত্রে কেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে তাকে নাক গলাতে হবে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ নেতারা অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মন্ত্রণালয় তথ্য নিয়ে কৌশলগত এবং প্রশাসনিক দুই ধরনের বিষয়ই আছে। প্রশাসনিক বিষয়গুলো নিয়ে যদি সারাক্ষণ তিনি ব্যস্ত থাকেন তাহলে কৌশলগত বিষয় নিয়ে চিন্তা করবে কখন এবং চিন্তা করে সেগুলোকে মোকাবিলা করার রাস্তা বের করবে কখন।
তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করার জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। চিন্তা করাটাও একটা কাজ। সারাক্ষণ তিনি প্রত্যেকটা কমিটিতে, প্রত্যেকটা কাজে, প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্ত থাকলে তাহলে মৌলিক জায়গাগুলোতে সমাধান বের করা তার সহজ হবে না।
অধ্যাপক আরাফাত মনে করেন, গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা যতটা দরকার ঠিক ততোটুকুই অপতথ্যকে দমন করা দরকার। এ ব্যাপারেও কারও কোনো দ্বিমত নাই। আবার একইসঙ্গে অপতথ্য যে সমাজে আছে এ ব্যাপারেও কারও কোনো দ্বিমত নাই। এগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে দমন করার উপায় আমাদের বের করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা চান।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু বাণিজ্যিক বিষয় আছে, কিছু স্বার্থের বিষয় থেকে যায়। সামাজিকভাবে কেউ স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা সবাইকে খুশি করতে পারবো না। সবকিছু ভারসাম্য রক্ষা করে সঠিক সিদ্ধান্ত কিভাবে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হবে। কিন্তু সিদ্ধান্তটা নিতে হবে দিনশেষে বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে।
Leave a Reply