November 15, 2025, 12:55 am
শিরোনামঃ
বাংলা সাহিত্যে কবি গোলাম মোস্তফার অবদান শীর্ষক  আলোচনা সভা  স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে ঝিনাইদহে হাঁটা প্রতিযোগিতা ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধারসহ ভারতে প্রবেশকালে নারী আটক কার্যক্রম স্থগিত থাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : ড. ইউনূস গণভোটের মধ্য দিয়ে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে না : বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন তিন উপদেষ্টা একটি দলের হয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে : জামায়াত নেতা তাহের সারের ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি  চট্টগ্রাম-নারায়ণগঞ্জ পাইপলাইন থেকে যমুনার পৌনে ৪ লাখ লিটার ডিজেল গায়েব ! বিদ্যালয়ে উপস্থিতি ও শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়াতে নাটোর থেকে শুরু হচ্ছে  ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম বগুড়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত 
এইমাত্রপাওয়াঃ

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ইস্যু নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের ঘোষণা দেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘পদত্যাগ ঘোষণা’র ইস্যু নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে ‘নির্বাচন নিয়ে চাপের মুখে অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের হুমকি’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি আদর্শবাদী আন্দোলন যখন গত আগস্টে ক্রম কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটায়, সে সময় বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ গণতন্ত্রের আসন্ন পুনরুজ্জীবন উদযাপন করেছিলেন। এরপর ৯ মাস হতে চললেও অন্তর্বর্তী সরকার সবাইকে হতাশ করেছে, যারা দ্রুত নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এখন দেশটির খ্যাতিমান নেতা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস হুমকি দিচ্ছেন যে যদি তাকে তার কাজ করতে দেওয়া না হয় এবং ধীরগতিতে দেশকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করার সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন।

সেখানে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত মুহাম্মদ ইউনূসকে সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সেরা সম্ভাবনা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তাকে যখন অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনার নেতৃত্বে আনা হয়, তখনো রাস্তাঘাটে রক্তপাত চলছিল।

কিন্তু তার সহযোগীরা বলছেন, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিকাশমান ঐক্যের কারণে তিনি বাধাগ্রস্ত অনুভব করছেন। এই ঐক্য তার নীতিগুলোর সমালোচনা করছে এবং বলছে, তিনি নির্বাচনের পরিকল্পনায় অত্যন্ত ধীরগতিতে এগোচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) মুহাম্মদ ইউনূস বাধাহীনভাবে কাজ করার জন্য রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থন না পেলে পদত্যাগের হুমকি দেন। মুহাম্মদ ইউনূস তার পদত্যাগ ঘোষণার ভাষণের খসড়া তৈরির পর্যায়ে গিয়েছিলেন বলে তার সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অন্যান্য উপদেষ্টা তাকে বোঝান যে তার পদত্যাগে বাংলাদেশ আরও অস্থিতিশীল হবে। ওই কর্মকর্তা ফোনে বলেন যে এ বছর নির্বাচন হওয়া উচিত বলে সেনাপ্রধান সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে অখুশি হয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগুলোর সমালোচনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বোধ করছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসিনার পুরনো বিরোধীরা যেকোনো নির্বাচনে জয় পাওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছেন। নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সেই সম্ভাবনা তত বেশি। শেখ হাসিনার দল লাঞ্ছনার মধ্যে রয়েছে এবং সম্প্রতি দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে দেশটিতে কার্যত অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই।

বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলারও অবনতি ঘটেছে, আর তা ঠিক করার উদ্যোগগুলোও চলছে অগোছালোভাবে। সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে থাকা মুহাম্মদ ইউনূসের নিজের কোনো রাজনৈতিক সমর্থন নেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফেলো মোবাশ্বার হাসান বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস একজন চমৎকার ব্যাংকার হতে পারেন, প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি দারুন হতে পারেন; কিন্তু তার যে ঘাটতি রয়েছে, দিনের পর এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে তার দৃঢ় ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব নেই। তার বদলে মুহাম্মদ ইউনূস তার উপদেষ্টাদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারেন বলে মনে করেন মোবাশ্বার হাসান।

অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে যাদের তাকে সাহায্য করার কথা ছিল, তাদের কেউ কেউ তাকে উপেক্ষা করছেন বলে অধ্যাপক ইউনূস মনে করছেন। ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত গত বুধবার সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের এমন বক্তব্যের পর তিনি ধৈর্য হারিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।

অধ্যাপক ইউনূস এর আগে বলেছিলেন, ২০২৬ সালের জুন নাগাদ দেশ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। তবে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা দেননি। তিনি তার মন্ত্রিসভাকে বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত বলে তিনি মনে করেন না।

গত নভেম্বরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস বলেছিলেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এটি আর থামবে না। তবে এই যাত্রাপথে আমাদের অনেক কাজ শেষ করতে হবে।’

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জোর দিয়ে বলে আসছে যে দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণের আগে একটি গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট প্রয়োজন। নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর সাবেক এই বিরোধী দল ক্ষমতা লাভের সুযোগ নিতে চায়। প্রথমদিকে বিএনপি ড. ইউনূসের সরকারকে সমর্থন দিলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নীতিগত মতবিরোধের কারণে তারা সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, ইউনূস ও তার কর্মকর্তারা দেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বেসরকারিকরণ করতে চান; মিয়ানমারের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ করিডোর চালু করতে চান; এবং প্রধান কর কর্তৃপক্ষকে ভেঙে দিতে চান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক অস্থিরতা সামাল দেওয়া ৮৪ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। একদিকে একটি বড় রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ, অন্যদিকে আরেকটি দল তড়িঘড়ি নির্বাচন চায়—এই পরিস্থিতিতে ইউনূস সময় নিতে চাইছেন।

যেসব ছাত্ররা হাসিনার সরকারকে সরাতে আন্দোলন করেছিল, তারা এখন বিএনপির ক্ষমতা দখলের আশঙ্কায় রয়েছে। অনেকেই এখনো ইউনূসের ওপর আস্থা রাখছে।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page