অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে ভারতের হায়দরাবাদে এক বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল (সোমবার) রাতে ওই সমাবেশ থেকে ভারত সরকারকে ফিলিস্তিনের জনগণকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করা হয়। অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের (মিম) সদর দফতর দারুসসালামে অনুষ্ঠিত সভায় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। ‘মিম’ প্রধান ও হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসির নেতৃত্বে ওই বৈঠকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে নিন্দা করা হয় এবং এর পর একটি প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে ১৯৭৪ সালে ভারত প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র এবং বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এমন প্রথম অ-আরব রাষ্ট্র ছিল। ১৯৮৮ সালে ভারত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হয়ে উঠেছিল।
গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘ভারতের উচিত ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সমর্থনের উত্তরাধিকারকে সম্মান করা। আমরা ভারত সরকারকে মহাত্মা গান্ধীর কথা মনে রাখার জন্য অনুরোধ করছি, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিদের, যেমন ইংল্যান্ড ব্রিটিশদের এবং ফ্রান্স ফরাসিদের। ভারত সবসময় বর্ণবাদ এবং ঔপনিবেশিকতার শিকারদের সাথে একাত্মতার সাথে দাঁড়িয়েছে এবং কাজ করেছে, তা সে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া বা ফিলিস্তিনেই হোক না কেন। এই ইতিহাস পরিত্যাগ করা উচিত নয়।’
গতকাল রাতের জনসমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের ভূমি দখলের অবসান ঘটাতে কয়েক দশক ধরে চলা সংগ্রামের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করা হয়। এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের লাগাম টেনে ধরার অনুরোধ করা হয়। এ সময়ে ‘মিম’ প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ শ্লোগান দিলে উপস্থিত জনতা তাতে গলা মেলান।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯২-’৯৩ সালের অসলো চুক্তিকে সম্মান করার পাশাপাশি, ইসরাইলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো মেনে চলতে হবে। এবং ইসরাইলকে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে আর বাধা দেওয়া উচিত নয়। জনসভায় তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ মাহমুদ আলী, বিশিষ্ট আলেম মুফতি খলিল আহমদ এবং বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভা শেষে ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
Leave a Reply