অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ২০৪১ নাগাদ সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানে উন্নয়নকে টেকসই করতে প্রয়োজন আধুনিক প্রযুক্তি, কারিগরি দক্ষতা এবং যথাযথ অর্থায়ন। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশীদার হতে চায় ফিনল্যান্ড।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফিনল্যান্ডস স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডে; বিল্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রুনদি এ আগ্রহের কথা জানান। ফিনল্যান্ড দূতাবাস এবং এফবিসিসিআই যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করে।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে চাই। বিশেষ করে কারিগরি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করছি। এখানে জ্বালানি, স্মার্ট সিটি, বন্দর ব্যবস্থাপনা খাতে ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করতে পারে।
এসময় পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে এফবিসিসিআইয়ের সহযোগিতা চান তিনি।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ফিনল্যান্ডকে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করে। দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে আমি মনে করি। বিশেষত শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি, বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি খাতে ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলোর সুনাম রয়েছে। এসব খাতে তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক হবে।
এইচএসবিসির এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বাজারের আকারের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে নবম। এই বাজারে ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলোর জন্যও বড় সম্ভাবনা রয়েছে।
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার ‘মিক্সড বেজ’ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছে। এ অবস্থায় পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ এবং ফিনল্যান্ডের মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তরের ওপর জোর দেন বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের কনসুল-জেনারেল এবং সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান।
সভায় নিজেদের ব্যবসা পরিচিতি এবং পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান নকিয়া, ওয়ার্টসিলা, এলিমেটিক, কোনক্রেনস, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ এবং কসমস গ্রুপ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, পরিচালকবৃন্দ ও মহাসচিব প্রমুখ।
Leave a Reply