July 1, 2025, 6:27 am
শিরোনামঃ
মহেশপুরে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বাজারজাত করার অভিযোগে জরিমানা মাগুরায় জুতা তৈরি করা নিয়ে মুচির বাটালির কোপে কিডনি দ্বিখণ্ডিত  জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার চুড়ান্ত প্রস্তুতি পর্বে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার লেনদেন বন্ধ থাকবে মালয়েশিয়ায় আটককৃত ৩৬ বাংলাদেশি আইএসের সঙ্গে যুক্ত আগামীকাল দায়িত্ব নিচ্ছেন  বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ-ভুটান বিভাগের নতুন পরিচালক জ্যঁ পেম রাজধানীর মতিঝিলে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় নগদ টাকাসহ ৩ জন গ্রেফতার ঢাকা ও ময়মনসিংহে চালু হচ্ছে অনলাইন জিডি রাজধানীতে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শুকুর আলীর ১০ বছর কারাদণ্ড ঝিনাইদহে চাষ হচ্ছে রাম্বুটান-অ্যাভোকাডো-আঙুরের
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন অফিস হলে বিনিয়োগ হারানোর ঝুঁকি বাড়বে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সহযোগিতার বিষয়ে জাতিসংঘের কোনো এখতিয়ার নেই বলে মত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, সংস্কার একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ফলে বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপিত হলে, তা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে। সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ হারানোর ঝুঁকিও বাড়বে এবং বাংলাদেশ বৈশ্বিক নানা সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হতে পারে।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জাতিগত সংঘাতে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিন, সিরিয়া, কম্বোডিয়া ও গুয়াতেমালাসহ ১৯টি দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস রয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশেই এখনো এ ধরনের কার্যালয় স্থাপন করা হয়নি।

সম্প্রতি জাতিসংঘের বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস জানিয়েছেন, ঢাকায় খুব শিগগিরই জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের একটি অস্থায়ী অফিস খোলা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই একটি চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অস্থায়ী এই দপ্তরের মূল দায়িত্ব হবে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করা। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এ ধরনের কার্যক্রম জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের আওতাভুক্ত নয়।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, “তাদের মূল কাজ হবে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনগুলো বাস্তবায়নে সহায়তা করা।”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “এটা জাতিসংঘের এখতিয়ার নয়। তারা যদি এটা করতে চায়, তাহলে সেটা অবমাননাকর হবে। সংস্কার আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, জনগণকেই এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। আর ‘অস্থায়ী’ বলে কিছু নেই—একবার তারা এ দেশে ঢুকে পড়লে, তাদের সরানো কঠিন হয়ে যাবে।”

বিশ্লেষকেরা আরও বলেন, সাধারণত যেসব দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে, সেসব জায়গায় জাতিসংঘ এমন কার্যালয় স্থাপন করে। ফলে বাংলাদেশে এ উদ্যোগ বিশ্বদৃষ্টিতে নেতিবাচক বার্তা দিতে পারে।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “এর একটা নেতিবাচক প্রভাব হবেই। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ হয়তো এতে খুশি হবে, ভাববে বাংলাদেশে আর বিনিয়োগ হবে না।”

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, জাতিসংঘের এ কার্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এ বিষয়ে সর্বস্তরে ব্যাপক সংলাপ ও আলোচনার প্রয়োজন বলেও তাঁরা মত দিয়েছেন।

আজকের বাংলা তারিখ

July ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Jun    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page