অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় নতুন একটি সামরিক ঘাঁটি চালু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিরক্ষা অবকাঠামো আরও শক্তিশালী করতে আসামের ধুবড়িতে স্থাপিত হতে যাচ্ছে নতুন একটি সামরিক স্টেশন। এটি বাংলাদেশের পঞ্চগড় ও ভুটান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই দ্রুত সময়ে দুইটি সামরিক স্থাপনা করল ভারত।
শুক্রবার ৭ নভেম্বর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ইস্টার্ন কমান্ডের অধীনে আসামের ধুবড়িতে ‘লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর. সি. তিওয়ারি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন সামরিক স্টেশন প্রতিষ্ঠা পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত অঞ্চলে বাহিনীর অপারেশনাল ক্ষমতা, লজিস্টিক সহায়তা ও প্রশাসনিক কাঠামো আরও মজবুত করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত ধুবড়ি জেলার এই ঘাঁটিটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে এবং ভুটানের সীমান্তের কাছেও অবস্থিত। ফলে এটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনীর রসদ, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিংবদন্তি আহোম যোদ্ধা ও সেনানায়ক লাচিত বরফুকনের নামে নামকরণ করা এই স্টেশনটি আসামের সাহস, নেতৃত্ব এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে।
পরিদর্শনকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি সীমান্ত এলাকার অপারেশনাল প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেন। তিনি চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কেও অবহিত হন।
আসাম সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতার প্রশংসা করে তিওয়ারি বলেন, নতুন সামরিক স্টেশন প্রতিষ্ঠায় তাঁদের সক্রিয় ভূমিকা সেনাবাহিনীর কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একইসঙ্গে, প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে গজরাজ কর্পসের সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার প্রশংসা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড মায়ানমার ও বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত পরিচালনার পাশাপাশি সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশজুড়ে প্রায় ১ হাজার ৩৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) তত্ত্বাবধান করে। নতুন ‘লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশন’ জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও রাজ্য প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রতীক হিসেবে দাঁড়াবে।