November 27, 2025, 9:04 am
শিরোনামঃ
ওসিদের নিয়োগও লটারির মাধ্যমে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যারা নির্বাচন ঠেকাতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : সিইসি রীপার ভিডিও বক্তব্য প্রচারের বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজের বিবৃতি রাজধানীতে ৩ শত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছে রাজউক ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরূপ মন্তব্যে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ; ক্যাডার পদে ১৭৫৫ ; নন-ক্যাডার ৩৯৫ জন রাজশাহীতে চিনির সঙ্গে রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল খেজুর গুড় ; ৫ কারখানায় অভিযান মাগুরার একজন রাজনৈতিক নেতার কারণে ১৮ দিন গৃহবন্দি মাদ্রাসা শিক্ষিকা ; প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে ধামরাইয়ে ৭টি ইটভাটায় অভিযানে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা পিরোজপুরে দুর্যোগে করণীয় বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মশালা
এইমাত্রপাওয়াঃ

বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভোলার লালমোহনে বাকপ্রতিবন্ধী দুই সন্তানের জননী স্বপ্না আক্তার (২৯) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মাথায় দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর বুধবার (৮ মার্চ) আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের জেল হাজাতে পাঠানো হয়। লালমোহন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাজিম (২১) উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলবাগিচা এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে, তিনি পেশায় জাহাজের শ্রমিক ও একই এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার (২১), তিনি পেশায় টাইলস মিস্ত্রি।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, গত রোববার (৫ মার্চ) রাতে উপজেলার দেওয়ানকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ওই বাকপ্রতিবন্ধী নারী। নিখোঁজের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে প্রতিবেশী মিঝি বাড়ির বাগানের ডোবার মধ্য থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত স্বপ্নার ভাই রিয়াজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে লালমোহন থানায় মামলা করেন।

নিহত স্বপ্নার ভাই রিয়াজ জানান, গৃহবধূর স্বামী শুক্কুর আলী দ্বিতীয় বিয়ে করায় তাকে দুই সন্তানসহ ফেলে রেখে খাগড়াছড়ি চলে যায়। সেই থেকে তাদের বাড়িতেই সন্তানদের নিয়ে বাস করছিলেন স্বপ্না। ৫ মার্চ সন্ধ্যায় দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী দোকানে গিয়েছিল। এরপর আর সে বাড়ি ফিরেনি। রাত ৩টার দিকে মাকে না দেখে দুই সন্তান কান্নাকাটি শুরু করে। এর দুই দিন পর স্বপ্নার মরদেহ তাদের বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি নির্জন বাগানের ডোবার মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের আলামত পেয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। জানা যায়, ঘটনার পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল আনোয়ার। ৭ মার্চ রাত ১২টার দিকে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট দিয়ে পালানোর সময় আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে একই দিন সন্ধ্যার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় নাজিমকে।

পুলিশ ও আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার ও নাজিম জানিয়েছে, গত ৫ মার্চ সন্ধ্যার পর বাড়ির কাছের একটি দোকানে প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা শেষে ঘরে ফিরছিলেন বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূ। এ সময় নাজিম ও আনোয়ার তার পিছু নেয়। ওই বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূ বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার একপর্যায়ে আসামিরা জোরপূর্বক তাকে বাগানের মধ্যে নিয়ে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে ধর্ষণের শিকার বাক প্রতিবন্ধী নারীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাগানের ডোবার মধ্য মরদেহ ফেলে পালিয়ে হয় তারা।

 

 

আজকের বাংলা তারিখ



Our Like Page