অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিএনপির গণমিছিলকে ঘিরে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় শুক্রবার সকাল থেকেই দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।
এরই মধ্যে রাজধানীর উত্তরা, মহাখালী, শ্যামলী, ফার্মগেট, মিরপুর গাবতলী, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, রামপুরা বাড্ডা ইউলুপ, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগের টিমের নেতাদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সেখানে মহানগর, থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মোটামুটি সমাবেশে রূপ নেয়।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তরায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দুকুর রহমান ও ধর্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।
মহাখালীতে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।
এছাড়া শ্যামলীতে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা।
ফার্মগেটে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
মিরপুর গাবতলীতে ছিলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং সাবেক সদস্য আবদুল আওয়াল শামীম।
মিরপুর গোলচত্বরে ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর।
রামপুরায় ছিলেন- শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
যাত্রাবাড়ীতে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, এবং কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।
মাঠে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, শ্যামলী এবং মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সশরীরে যুক্ত ছিলেন। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বলেছেন, আন্দোলন কর্মসূচির নামে কেউ সাধারণ জনগণের জানমালের ওপর হামলা চালালে বা কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাইলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে রাজপথে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থান করছেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আন্দোলন সংগ্রামের নামে বিএনপি-জামায়াত যদি মানুষের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এইজন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে অবস্থান নিয়েছি।’