অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানী সেনাবাহিনীর উপ-সমন্বয়কারী ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়ারি বেইজিং জিয়াংশানের বিশ্ব নিরাপত্তা ও শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে চীনে যান। সমতা, স্বাধীনতা, পারস্পরিক অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষার ধারণা ওই সম্মেলনের মূল উপজীব্য। পার্সটুডে আরও জানায়, অ্যাডমিরাল সাইয়ারি ওই বৈঠকে বলেছেন: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে স্থলে, আকাশে, সমুদ্রে বিশ্বের সকল কল্যাণকামীদের নিরাপত্তার মান উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরানের সেনাবাহিনীর উপ-সমন্বয়কারী ইহুদিবাদীদের অপরাধযজ্ঞের কথা উল্লেখ করে বলেন: গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তারা সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছে এবং তেহরানে শহীদ ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে তাদের সেই লঙ্ঘনের ধারা অব্যাহত রেখেছে। আমেরিকার সীমাহীন গোয়েন্দা ও সামরিক সহায়তা তাদের ওই ঔদ্ধত্যের কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অ্যাডমিরাল সাইয়ারী আরও বলেন: আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার নৈরাজ্যপূর্ণ কাঠামো, বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ এবং পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তা ব্যর্থতা-এই ৩টি কারণে ইরান নিরাপত্তার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অর্জন করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এখন বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা হিসেবে বিবেচিত। আন্তর্জাতিক নীতিমালার ভিত্তিতে অগ্রসরমান ইরানি সামরিক নিরাপত্তা শক্তির কাছে তথাকথিত বৈশ্বিক আধিপত্যবাদ বহুবার পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইরানের সেনাবাহিনীর ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর আরও বলেন: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সবাইকে শান্তি, সাম্য ও স্বাধীনতার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং রক্তপিপাসু পরাশক্তিদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়।
Leave a Reply