অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল জনৈক কাপড় ব্যবসায়ীর। পরিচয়ের সূত্রে সেই নারী তার কাছে কয়েক হাজার টাকা ধার চান। বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী; দুই দফায় টাকা দেন তিনি। পরে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই নারী ব্যবসায়ীকে ডেকে নেন বান্ধবীর বাড়িতে। সেখানে তাকে চা দেওয়া হয়। আর তাতে মেশানো ছিল নেশাদ্রব্য। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী।
ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার। সম্প্রতি দীপক জৈন নামের ওই ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, একজন নারীর মাধ্যমে তাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে।
দীপক জৈনের দাবি, ওই নারী তার অচেতন হওয়ার সুযোগ নিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। আর এ বিষয়টি দীপককে জানানো হয় ঘটনার দুই সপ্তাহ পর। অপর এক যুবক তাকে ওই ভিডিও পাঠায়। আর এরপরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল করা। ওই নারী তার কাছে তিন লাখ রুপি চেয়ে হুমকি দেন। নইলে তার অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার কথা বলা হয়।
কাপড় ব্যবসায়ী দীপক ভয়ে প্রথমে কাউকে বিষয়টি জানাননি। কিন্তু যখন বুঝতে পারেন তাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে, তখন তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা রাকেশ কুমার সাগর বলেন, বিষয়টি সামনে আসার পর তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে একটি সেক্স রেকেটের সন্ধান পায় পুলিশ। অভিযুক্ত নারী এবং তার স্বামী দেবেন্দ্র যাঁদং ওই সেক্স রেকেটের নেতৃত্ব দেয় কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রাম সোনি নামের এক বিজেপি নেতাও।
পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ওই নারী একাধিক ব্যবসায়ীর অশ্লীল ভিডিও বানিয়েছেন। আর তা করা হত ঘরের বাল্বের মধ্যে ক্যামেরা রেখে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply