অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার ভাদুঘরে এক যুবকের হামলায় আরজুদা বেগম (৭৫) নামে বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত নারী ভাদুঘর গ্রামের মৃত আলী আকবরের স্ত্রী।
এই ঘটনায় নারী-কিশোরীসহ আরও সাত জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতরা হলেন- রাবেয়া (৫০), খালেদা (৪৪), সাজু বেগম (৫০), মুখলেছ (৪৫), নয়ন মনি (১৪), পপি (৩৫) ও অপরজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই ভাদুঘর এলাকার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ শিহাব (২৮) নামের ওই যুবককে আটক করেছে। ওই যুবক একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে।
সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, শিহাব ভাদুঘর এলাকার একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। গত কয়েক বছর আগে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে সে নারীদের দেখলে বা তাদের নাম শুনলে উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ করতে আসে। সম্পূর্ণ নারী বিদ্বেষী মনোভাব তার। গতবছরও স্থানীয় কয়েকজন নারীকে কুপিয়ে আহত করে। মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বৃদ্ধাসহ কয়েকজন নারীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সবাইকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আরজুদা বেগম ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আটক করতে গেলে সে পুলিশের ওপরও হামলার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় সে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে। পরে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে থানায় আনা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, এই যুবকের এমন তুঘলকি কাণ্ডে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে তার পরিবারের গা ঢাকা দিয়েছেন।
Leave a Reply