অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের নয়াদিল্লির নির্জন এলাকায় একটি স্যুটকেস থেকে তরুণীর পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সমবয়সী চাচাতো ভাই ঝগড়ার পর তাকে রাগের বশে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর একটি স্যুটকেসে ভরে বন্ধুর সাহায্যে ফেলে দেওয়া হয় লাশ।
এনডিটিভি জানিয়েছে, রোববার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে পূর্ব দিল্লির গাজীপুরে একটি স্যুটকেস ফেলে দেওয়ার খবর পায় স্থানীয় পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করা হয়, যা সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী তরুণীর নাম শিল্পা পাণ্ডে। চাচাতো ভাই অমিতের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক বছর ধরে একসঙ্গেই থাকতেন। শিল্পা তাকে বিয়ে করতে চাইলেও বিচ্ছেদের চেষ্টা করছিলেন অমিত।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে শিল্পার সঙ্গে অমিতের ঝগড়া হয়। তখন রাগের বশে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর স্যুটকেসে ভরে বন্ধু অনুজের সহায়তায় লাশ ফেলে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এ ঘটনায় পুলিশ ‘খুন এবং প্রমাণ নষ্ট’ করার মামলা দায়ের করেছে। তদন্তের জন্যে বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে।
পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অভিষেক ধনিয়া বলেন, প্রথমে আমাদের কোনো ধারণা ছিল না। শুধু একটি পোড়া স্যুটকেস এবং একটি পোড়া দেহ পাওয়া যায়। স্যুটকেসটি যে এলাকায় পাওয়া গেছে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করি।
তিনি জানান, একটি মাইক্রোবাসের উপর সন্দেহজনিত কারণে নজর রাখা হয়। লাশটি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এলাকাটি অতিক্রম করে সেই মাইক্রোবাস। রেজিস্ট্রেশন নম্বর খুঁজে পাওয়া যায় স্থানীয় লোনি এলাকার এক বাসিন্দার নামে। গাড়িটি অমিতের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অমিতের সন্ধান পায় পুলিশ। এরপর তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আদালতে তোলা হবে।
Leave a Reply