অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের লোকসভায় এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ১৯৪৬ সালের পর এবারই প্রথমবার এর স্পিকার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সরকার ও বিরোধী দল। ফলে এবার স্পিকার নির্বাচন অন্যবারের চেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কারণ, ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের প্রধান অংশীদার বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
স্পিকার পদে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইন্ডিয়া জোট মঙ্গলবার মনোনয়ন দিয়েছে কোদিকুন্নিল সুরেশকে। তিনি কেরালা থেকে আট বারের এমপি। অন্যদিকে এনডিএ জোট মনোনয়ন দিয়েছে সাবেক স্পিকার ওম বিড়লাকে। এমপি সুরেশকে মনোনয়ন দেয়ার ফলে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট ও ক্ষমতাসীন এনডিএর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে বিজেপি দায়িত্ব দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও পার্লামেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। কোটার এমপি ওম বিড়লাকে নতুন করে স্পিকার বানাতে অন্যদের সম্মত করানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদেরকে।
শুরুতে ওম বিড়লাকে স্পিকার হিসেবে সমর্থন দিতে আগ্রহী ছিল ইন্ডিয়া ব্লক।তবে সেক্ষেত্রে তাদের দাবি ছিল ডেপুটি স্পিকার পদ দিতে হবে বিরোধী দলের একজন সদস্যকে। পার্লামেন্টের রীতি বজায় রাখার জন্য তারা এ দাবি তুলেছিল। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কোনো সাড়া পায়নি ইন্ডিয়া জোট।
ফলে সময় শেষ হয়ে যাওয়ার ১০ মিনিট আগে খবর বেরিয়ে আসে যে, বিরোধীরা স্পিকার পদে কোদিকুন্নিল সুরেশকে মনোনয়ন দেবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেনও।
সূত্রগুলো বলেছে, ডেপুটি স্পিকার পদ দেয়ার সিদ্ধান্ত শেষের দিকে নিয়েছে বলে বিজেপির তরফ থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা ওম বিড়লাকে সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে সরকার ও দেশ সবার সম্মতি নিয়ে চালানোর প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ২৪ ঘন্টা পরেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন নতুন জোট ও বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
ওদিকে দ্য হিন্দু লিখেছে, মঙ্গলবার দিনের শুরুর দিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের বলেছেন, যদি লোকসভার ডেপুটি স্পিকার পদ তাদেরকে দেয়া হয়, তাহলে স্পিকার পদে তারা সরকারের মনোনয়নকে সমর্থন করবেন। কিন্তু বিজেপির সিনিয়র এমপি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আহ্বানে অনুষ্ঠিত এক মিটিং থেকে কংগ্রেস ও ডিএমকে প্রতিনিধিরা ওয়াকআউট করেন। ফলে ওই পদ নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি।
Leave a Reply