অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভ্রমণ অথবা ব্যবসায়ের কাজে যারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন তারা সেখানে গিয়ে চাকরি করতে পারবেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও অভিবাসী সেবা সংস্থা (ইউএসসিআইএস)।
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যারা যেতে চান তাদের বি-১ ও যারা ভ্রমণে যেতে চান তাদের বি-২ ক্যাটাগরির ভিসা দেওয়া হয়।
ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, এ দুই ক্যাটগরির যেসব ভিসাধারী কাজ করতে আগ্রহী— তারা চাকরির আবেদন ও চাকরি পাওয়ার পর কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারবেন। তবে এর আগে তাদের ভিসার ধরণ পরিবর্তন করতে হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) একাধিক টুইটে ইউএসসিআইএস বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছে। একটি টুইটে সংস্থাটি বলে, ‘অনেকে জিজ্ঞেস করেন বি-১ ও বি-২ ভিসাধারীরা নতুন কাজের খোঁজ করতে পারবেন কিনা। উত্তর হলো, হ্যাঁ। বি-১ এবং বি-২ ভিসাধারীদের চাকরি খোঁজা ও ইন্টারভিউ দেওয়ার অনুমতি আছে।’
তবে একই সঙ্গে সংস্থাটি মনে করিয়ে দিয়েছে, নতুন কাজ শুরুর আগে, বি-১ ও বি-২ ভিসা থেকে অন্য ভিসা পাওয়ার আবেদন ও এটির অনুমোদন অবশ্যই পেতে হবে।
এছাড়া নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসাধারীদের মধ্যে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। সেগুলো পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছে তারা।
সংস্থাটি বলেছে, যখন একজন নন-ইমিগ্রেন্ট কর্মী চাকরি হারান, তারা আসলে জানেন না তাদের কী করার আছে। এমনকি কেউ কেউ ভাবেন, তাদের ৬০ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে। ৬০ দিনের এ সময়টি শুরু হয়, চাকরি হারানোর পর শেষ বেতন পাওয়ার পর থেকে।
এ ব্যাপারে সংস্থাটি বলেছে, যখন ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কেউ চাকরি হারান বা ছেড়ে দেন, তারা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য, যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে একাধিক ব্যবস্থা নিতে পারেন।
যার মধ্যে রয়েছে নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসার ধরণ বদল করা; অবস্থান পরিবর্তনের আবেদন করা; চাকরির কাগজপত্রের অনুমোদনের ‘জরুরি পরিস্থিতির’ আবেদন করা; অথবা চাকরি পরিবর্তনের সুবিধার আবেদন।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, যদি চাকরিচ্যুত হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এগুলোর যে কোনো একটির আবেদন করা হয় তাহলে নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসাধারীদের আরও ৬০ দিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।
তবে ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে চাকরি পাওয়ার পর যদি কাউকে কাজের অনুমোদন না দেওয়া হয় তাহলে তাকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে। সূত্র: এনডিটিভি
Leave a Reply