অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাস স্থানীয় একটি হোটেলে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা, মস্কোতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, অন্যান্য মার্কিন কূটনীতিকসহ অন্যদেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণ করেন।
দূতাবাস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৬ মে) ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেনকো। এছাড়া যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরব, ভারতসহ ষাটের অধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগদান করেন।
রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের কথা তুলে ধরেন। ১৯৭২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রথম সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরের মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্কের যে ভিত রচিত হয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৩ সালের সফরের মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় হয় বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই ইউরিয়েভিচ রুদেনকো বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়ার বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন যে রাশিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মাইন ও ডুবে থাকা জাহাজ উত্তোলন করে বন্দরটিকে আবার সচল করে তোলে।
তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া তথা আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন।