অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একাত্তরের রণাঙ্গনের মুক্তিসংগ্রামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এক শোকবার্তায় মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সেদিন অস্ত্র হাতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো সাহসী সূর্য সন্তানরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অতুলনীয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমিও তার আত্মার প্রতি সম্মান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মণীয় অবদান রাখার পাশাপাশি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ওষুধ শিল্পে ও ওষুধ খাতে জনকল্যাণে অবদান রেখেছেন। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এছাড়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার রাত ১১টায় ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৮২ বছর বয়সী জাফরুল্লাহ চৌধুরী কিডনিসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে জন্ম নেওয়া জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেন। পিতামাতার ১০ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়।
একাত্তরে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। স্বাধীন বাংলাদেশে সেটিই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে প্রতিষ্ঠা করেন বিরল ব্যক্তিত্বধারী এই জনস্বাস্থ্য চিন্তাবিদ।
স্বাধীনতার পরে তার বড় অবদান ছিল জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়নে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলে কম খরচে দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করায়ও তার অবদান স্মরণ করা হয়।