ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে এলাকার দুষ্টু কুচক্রী মহলের উস্কানীমূলক লোকজন। সরেজমিনে গত সোমবার ২৫ মার্চ আমলসার ইউনিয়নের দূর্গাপুর ও শ্রীপুর ইউনিয়নের সাচিলাপুর এলাকায় গভীর গোপন ও প্রকাশ্য বিভিন্ন অনুসন্ধান রিপোর্ট করে জানা যায় রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষককের নামে উস্কানীমূলক আজেবাজে মন্তব্য করেছে এলাকার একটা দুষ্টু কুচক্রী মহলের লোকজন।
স্থানীয় রাজাপুর স্কুলের সাথে বাজার কেন্দ্রীয় বিভিন্ন দোকানদার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ বলেন, ২ জন শিক্ষকদের নিয়ে এমন কুরুচিপুর্ণ বাজে মন্তব্য সম্পর্কে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, একটা দুষ্টু চক্র তাদের জেদ বজায় রাখা ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এমন উস্কানীমূলক বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ায়েছে যার কোন সঠিক উপযুক্ত ভিডিও, অডিও, লিখিত ও ক্লিপ ছবির প্রমাণ নেই। স্কুলের এক ছাত্র জানায়, ঐ স্কুলের বিপ্লব স্যার আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে প্রধান শিক্ষককে বলার জন্য তাই আমরা এসব কথা বলেছি।
রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষিকা শ্রাবণী আফরোজ (৩২) জানান, আমার স্বামী উজ্জ্বলের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক ঝামেলা আর এইটাকে কেন্দ্র করেই একটা দুষ্ট কুচক্রী মহলের গভীর ষড়যন্ত্র করেছে। যা সত্য নয় এটার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করি। আমার দুই ছেলে ও মেয়ে আছে। সহকারী শিক্ষক আব্দুল হালিম জানান, আমি দুই সন্তানের জনক আমাকে নিয়ে একটা কুচক্রী মহল ছাত্রদের দিয়ে এমন উস্কানীমূলক আজেবাজে কথা শিখিয়ে দিয়েছে। আমার কলিগ শ্রাবণী আফরোজ আমার সহকর্মী তার সাথে আমার কোন গভীর সম্পর্ক নেই।
রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আকরাম উজ্জামান বলেন, আমি কখনও নিজের দৃষ্টিতে আমার শিক্ষক ও শিক্ষিকার আপত্তিকর অবস্থা দেখি নাই। এই গুলো একটা দুষ্ট চক্র উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য শিক্ষার্থীদের দিয়ে এমনটা করতে পারে।
শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, ঘটনা আমি শুনেছি তবে লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আসে নাই। আর শক্ত প্রমাণ ছাড়া একজন শিক্ষক ও শিক্ষিকার নামে এমন আপত্তিকর সংবাদ প্রকাশে দুঃখ প্রকাশ করেন।
Leave a Reply