নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ফারুক আহমেদ, মাগুরা : বাংলাদেশ পরিবার কল্যাণ সহকারী সমিতি মাগুরা জেলা শাখার উদ্যোগে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টার সময় মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবার কল্যাণ সহকারী সমিতি জেলা শাখা মাগুরা এর আয়োজনে আলোচনা সভা করা হয়।
সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা পরিবার কল্যাণ সহকারী সমিতির সভাপতি শাহানারা পারভীন ও সঞ্চালনায় মাগুরা জেলা পরিবার কল্যাণ সহকারী সমিতির অর্থ সম্পাদক জ্যোৎস্না কুমারী বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ এনামুল হক। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা পরিবার কল্যাণ সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসিনা খাতুন।

সভার শুরুতে সভাপতি মোছা: শাহানারা পারভীন বলেন, আমাদের নিয়োগ বিধি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, নিয়োগ বিধিতে আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রী করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা যেহেতু ই পি আই কাজ করি এবং ডিআইপিও ইনজেকশন এর মাধ্যমে জন্ম নিয়ন্ত্রন কাজ করি সেহেতু আমাদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদার গ্রেডে বেতন প্রদান করতে হবে। সভাপতি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা একজন স্বাস্থ্য সহকারী অপেক্ষা নিম্ন গ্রেডে বেতন পাই। স্বাস্থ্য সহকারী বেতন পায় ১৫ তম গ্রেডে সেখানে আমরা পরিবার কল্যাণ সহকারীগণ বেতন পাই ১৭ তম গ্রেডে।
সভায় সদস্য সচিব হাসিনা খাতুন উল্লেখ করেন যে, ইতিমধ্যে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকদের সিলেকশন গ্রেড দেওয়ার নিমিত্তে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি অত্যন্ত পরিতাপের সহিত জানান যে, একই নিয়োগ বিজ্ঞপিতে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকদের সিলেকশন গ্রেড পেতে পারে তাহলে আমরা কেন সিলেকশন গ্রেড হতে বঞ্চিত থাকবো।
সাবেক সভাপতি খালেদা ইয়াসমিন সভায় হতাশার সঙ্গে জানান যে, চাকরির শেষ প্রান্তে এসেও আমরা সিলেকশন গ্রেড হতে বঞ্চিত। আমাদের সঙ্গে যেসকল পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক নিয়োগ পেয়েছিলেন তাহারা সকলেই সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে মাঠ পর্যায়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকগণ বিভিন্ন সভায় দাবীর বিষয়ে আসতেই উল্লেখ করেন যে, আমরা ২৮ হাজার মাঠ কর্মচারী। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তাঁরা ৪৫০০। আমাদের নিয়েই তাদের ২৮ হজার অথচ আমরা পরিবার কল্যাণ সহকারীগণ বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার। আলোচনায় সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট জোর সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দাবী জানানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
পরিবার কল্যান সহকারী এফডব্লিউএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দাবি পদোন্নতি চাই, নিয়োগ বিধির পরিবর্তন চাই, শিক্ষাগত যোগ্যতার বৈষম্য চাই, বেতন বৈষম্যর সমাধান চাই। তিনি আরও জানান ৫ টি দাবি নিয়ে আজকে আলোচনা সভা সেগুলো হলো নিয়োগবিধি, সিলেকশন, পদোন্নতি শতভাগ, বেতন বৈষম্য ও শিক্ষাগত যোগ্যতা।
মাগুরা ৪ উপজেলার ১২৪ জন এফডব্লিউএ উপস্থিত ছিলেন এবং সারা বাংলাদেশে এফডব্লিউএ সংখ্যা ২৩ হাজার ৫০০ শত জন। তারা আরও জানান ১৯৮৯ সালে ৩য় শ্রেনীতে চাকরির সময় নিয়োগ অথচ বেতন দেওয়া হয় ৪র্থ শ্রেণির গ্রেডে এবং ১৯৮৯ সালে ১৬ তম গ্রেডে বেতন হওয়ার কথা থাকলেও বিগত বছর সহ বর্তমান ২০২৫ সালেও ১৭ তম গ্রেডে বেতন পায়। এছাড়াও পেনশন থেকে ২০% কর্তন করা হয়। পরিবার কল্যান সহকারী এফডব্লিউএ সদর মাগুরা ৪৩ জন, শ্রীপুরে ২৮ জন, মহম্মদপুর ২৭ জন ও শালিখা উপজেলা থেকে ১২৪ জন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply