নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরায় বহুল আলোচিত দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত সেই ৪ জন নিয়োগ প্রার্থীর বেতনের এমপিও হতে যাচ্ছে এক রহস্যময়ী নারীর হস্তক্ষেপে। মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি ইউনিয়নের ধূলজোড়া চুড়ারগাতি প্রতাপ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত সেই ৪ জন প্রার্থীর বেতনের এমপিও প্রায় ১ বছর বন্ধ থাকার পর এক রহস্যময়ী নারীর ছোঁয়ায় স্বস্তির আশ্বাস পাচ্ছে নিয়োগকৃত প্রার্থীরা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগকৃত প্রার্থীদের বেতনের এমপিও হতে যাচ্ছে চুড়ারগাতি গ্ৰামের প্রভাষ চৌধুরীর (কালা) কন্যা মিলি চৌধুরীর মাধ্যমে। নিয়োগ প্রাপ্ত সেই ৪ জন প্রার্থীর বেতনের এমপিও প্রায় চুড়ান্ত হতে চলেছে। সুত্র আরো জানিয়েছে নিয়োগকৃত প্রার্থীদের বেতনের জন্য প্রার্থীদের নিকট হতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বেতন করিয়ে দিবে মিলি চৌধুরী। তার কথা মতো প্রার্থীরা চুক্তির টাকা দিয়েছে, এখন শুধু অপেক্ষার পালা। সরকারি বিধি মোতাবেক এমপিও হয় প্রতি জোর মাসের ১ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে স্কুল থেকে ফরোয়ার্ডিং করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে, ৮ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিস পাঠিয়ে দেয় জেলা শিক্ষা অফিসে। জেলা শিক্ষা অফিস ১৪ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে উপ-পরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা খুলনা অঞ্চল কে প্রেরন করেন। কিন্তু এটার বিষয়ে দেখা যায় তার ভিন্নরূপ, স্কুল থেকে বিধিবহির্ভূত ভাবে সকল সময় পার করে ২২ তারিখে সরাসরি জেলা শিক্ষা অফিসার কে বেতনের এমপিওর ফরোয়ার্ডিং সেন্ড করিয়েছে তিনি (জেলা শিক্ষা অফিসার) ঐদিনেই ডিডি খুলনা বিভাগকে বেতনের এমপিও সেন্ড করিয়েছে। এখানে আইনের তোয়াক্কা না করেই আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়োগকৃত প্রার্থীদের বেতনের এমপিও পাঠানো আদালত অবমাননা ও আইনের পরিপন্থী। জানা যায় তাদের বেতনের এমপিও করাতে উর্ধ্বতন মহলকে টাকা ঘুষ দিতে হবে। এভাবে দুর্নীতি চলতে থাকলে এলাকাবাসীর আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে যাবে। বিষয়টির প্রতি নজর দিতে এলাকার সচেতন মহল, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও মহাপরিচালক মহোদয়ের প্রতি সদয় বিবেচনার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।
এবিষয়ে মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আলমগীর কবীর জানান, ডিডি স্যার ফাইল দেখতে চেয়েছেন।
Leave a Reply