ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের ইছাখাদা মধ্যপাড়া গ্রামের আবুল হাশেম খানের ছোট কন্যা হালিমা খাতুনের (২৩) জীবনটা পঙ্গু করে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী মোস্তফা শেখ। গত বছর ২৮ এপ্রিল ২০২৪ সালে হাজরাপুর ইউপি মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কাজী মোঃ আসাদুজ্জামান মাদারীপুর জেলার রাজৌর উপজেলার গোয়ালকান্দি গ্রামের মোঃ ছলেমান শেখের পুত্র মোস্তফা শেখ (৪০) এর সাথে মুসলিম শরীয়তে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে নেমে আসে হালিমা খাতুনের উপর অত্যাচার, মারধর সহ নানা রকমের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড, এবিষয় নিয়ে কয়েকবার মেয়ে পক্ষের লোকজন শালিস বৈঠকও করে।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পুলিশ কেস ৭৮৪৭৭/১৯৭ রেজিষ্ট্রেশন নম্বর শারীরিক আঘাত নিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪.৪৫ টার সময় ভর্তি করা হয় হালিমা খাতুনকে। হালিমা খাতুনের আম্মা হাজরা বেগম জানান ৬ ছেলে মেয়ের মধ্যে হালিমা সবার ছোট, তাকে তার জামাই মোস্তফা শেখ মাথা, মাঝা, পিঠে আঘাত করে জীবনের মতো পঙ্গু করে দিয়েছে এবং চুলের মুটি ধরে টেনে ছিলো। আমি মাগুরা সদর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা থেকে বলেছে কোর্টে মামলা দায়ের করতে।
হালিমার পিতা আবুল হাশেম খান জানান, মারধর করার ৪ দিন পর আমার স্ত্রী হাজেরা বেগম মাদারীপুর যায় হালিমাকে নিয়ে আসতে। কিন্তু তারা মেয়েকে দেয় না মাগুরা আসতে এরপর আমি ও আমার ছেলে যায়। তারপর কাজী মঞ্জুর ইসলাম কে খবর দিলে সে মাদারীপুর গিয়ে হালিমা খাতুনেকে নিয়ে মাগুরা এসে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সে ক্রন্দনরত অবস্থায় জানান আমার মেয়ে হালিমা খাতুনের উপর নির্মম ভাবে মারধর করে মাঝার হাড় ভেঙ্গে দিয়েছে এবং রগ ছেঁচে দিয়েছে, আমি ঐ অমানুষ পাষাণ মোস্তফা শেখের আইনগত বিচার চাই।

আহত হালিমা খাতুন জানান, মোস্তফা শেখ আমাকে মারধর করে শারীরিক ভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে আমি এখন উঠে বসতে পারছি না। মাথায় আঘাত করেছে ও সর্ব শরীরে কিল ঘুষি দিয়ে আমার রগ ছেঁচে দিয়েছে এবং মাঝার হাড় ভেঙ্গে দিয়েছে। মোস্তফা শেখ একটা অমানুষ প্রকৃতির লোক সে ফলের ব্যবসা করে জুয়া খেলে, মাদকাসক্ত নেশা করে। এর আগেও প্রথম স্ত্রী দুই সন্তানের জননীকে মেরে ক্যান্সার করে দিয়ে ছিলো ফলে সে মারা যায়। দ্বিতীয় স্ত্রী সুমিকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে, তৃতীয় স্ত্রী পনি খাতুনকে মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এরপর আমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে বিনা কারণে আমাকে শারীরিক আঘাত করতে থাকে প্রতিনিয়ত, আমি ঐ পাষন্ড স্বামী মোস্তফা শেখের আইনের আওতায় কঠোর শাস্তি ও সাজা ও বিচার দাবি করি।
ঘটনার এবিষয়ে মোস্তফা শেখ জানান, হালিমা খাতুনকে আমি ধাক্কা মেরে ছিলাম, আর ইটের উপর পড়ে শারীরিক আঘাত পেয়েছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
Leave a Reply