December 15, 2025, 3:43 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা নিবেদন লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আইনি নোটিশ সুদানে সন্ত্রাসী হামলায়  ৬ বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী নিহত ; পরিচয় প্রকাশ ভূমি রেজিস্ট্রেশন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন হওয়া উচিত : ভূমি সচিব সালেহ আহমেদ দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু ; হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৭ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৫ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ সেন্টমার্টিনে পর্যটকের চাপে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব টিকিট আগাম বিক্রি শেষ রাঙ্গামাটিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ সিরিয়ায় মার্কিন সেনা নিহতের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প
এইমাত্রপাওয়াঃ

মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা দিলেন দুই ডাক্তার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জন্ম থেকেই হৃদরোগে ভুগছে ৬ মাসের শিশু। চিকিৎসার জন্য সন্তানকে নিয়ে প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছিলেন মা। কিন্তু, মাঝ আকাশেই তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয় শিশুটির। অসহায় মা তখন সন্তানকে বাঁচাতে কাতর আর্জি জানান বিমানের ক্রু সদস্যদের কাছে। সেই সময় এগিয়ে আসেন রাঁচির এক আমলা চিকিৎসক ও তার সঙ্গী। তাদের চিকিৎসায় অবশেষে বিপদমুক্ত হয় শিশুটি। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ইন্ডিগোর রাঁচি-দিল্লি ফ্লাইটের যাত্রীরা।

ইন্ডিগো সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে রাঁচি থেকে ৬ মাসের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিগামী প্লেনে উঠেছিলেন এক নারী। প্লেনটি যখন মাঝ আকাশে, তখন শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরিস্থিতি যে খারাপ দিকে যাচ্ছে, তা বুঝতে পারেন বিমানবালারা। শিশুটিকে বাঁচাতে বিমানে কোনো চিকিৎসক রয়েছেন কি না জিজ্ঞাসা করে মাইকে ঘোষণা দেন তারা।

ওই ঘোষণা শুনেই এগিয়ে আসেন আইএএস অফিসার ও চিকিৎসক নীতিন কুলকার্নি ও ডা. মোজাম্মিল ফিরোজ। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের প্রধান সচিব হলেও চিকিৎসকের কর্তব্য ভোলেননি কুলকার্নি। তাই রাঁচি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ফিরোজকে সঙ্গে নিয়ে শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তিনি।

ডা. কুলকার্নি জানান, প্লেনটিতে শিশুদের জন্য অক্সিজেন মাস্ক ছিল না। ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের মাস্ক দিয়েই ওই শিশুকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। তার মেডিক্যাল রিপোর্টগুলো দেখে জানা যায়, সে জন্মগতভাবেই হৃদরোগী। চিকিৎসার জন্য তাকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

জানা যায়, শিশুটির শ্বাসকষ্টের জন্য তৎক্ষণাৎ বিশেষ ইনজেকশনের দরকার ছিল, যার মধ্যে একটি তার মায়ের কাছে ছিল। সেই ইনজেকশন শিশুটিকে দেন ডা. কুলকার্নি। সেটা সেই সময় ভীষণ কাজে এসেছিল বলে জানান তিনি।

জানা যায়, অক্সিমিটার না থাকায় শিশুটির শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ জানা যাচ্ছিল না। তবে নানাভাবে শিশুটিকে সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যান ডা. কুলকার্নি ও ডা. ফিরোজ। তাদের তৎপরতায় ধীরে-ধীরে শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল হয় ও স্টেথোস্কোপে হৃৎস্পন্দন ধরা পড়ে।

প্লেনের ক্রুরাও নানাভাবে শিশুটির চিকিৎসায় সহায়তা করেছিলেন বলে জানান ডা. কুলকার্নি। তারপর বেলা ৯টা ২৫ মিনিট নাগাদ প্লেনটি দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে সম্পূর্ণ অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে এইমস হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নানান চেষ্টায় শিশুটি বিপদমুক্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডা. কুলকার্নি ও ডা. ফিরোজ।

আইএএস কর্মকর্তা হয়ে ডা. নীতিন কুলকার্নি যেভাবে শিশুটিকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই বিমানের অন্য যাত্রীরা। ডা. কুলকার্নি ও ডা. ফিরোজ ৬ মাসের শিশুটিকে বাঁচাতে সাহসের সাথে এসেছিলেন বলে টুইট করেছেন অনেকে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page