অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান দলের সদস্যরা গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ কেনার বিষয়ে কথা বলার অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি বিল পেশ করেছেন।
পার্সটুডে জানিয়েছে, “মেক গ্রিনল্যান্ড গ্রেট এগেইন” শিরোনামে এই বিলের খসড়া উত্থাপনকারী মার্কিন রিপাবলিকান পার্টির সদস্য “অ্যান্ডি ওগলস” এবং “ডায়ানা হার্শ বার্গার”। বিলটি আমেরিকার আইন প্রণেতাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। ফক্স নিউজ জানিয়েছে যে এই বিলের পরিকল্পনাকারী এবং উপস্থাপকদের মোট সংখ্যা ১০ জন।
এই বিলে, প্রস্তাব করা হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট “ডোনাল্ড ট্রাম্প” ২০ জানুয়ারী তিনি যেদিন শপথ নেবেন সেদিন থেকেই গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ কেনার বিষয়ে ডেনমার্কের সাথে আলোচনায় বসবেন।
ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে তিনি গ্রিনল্যান্ডকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করতে চান। তিনি ডেনমার্ককে এই দ্বীপ ছেড়ে দিতে বাধ্য করার জন্য সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগকে প্রত্যাখ্যান করেননি।
গ্রিনল্যান্ড বহু শতাব্দী ধরে ডেনমার্কের অধীনে রয়েছে। এই দ্বীপটি বর্তমানে আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মোটে এগডে দ্বীপটি কেনার জন্য আমেরিকার চাপ বৃদ্ধির একইসাথে ডেনমার্কের কাছ থেকেও স্বাধীনতা অর্জনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন যে এই দ্বীপটি বিক্রি করা হবে না এবং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে গ্রীনল্যান্ডের জনগণ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার পাশাপাশি, কানাডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সংযুক্ত করার এবং পানামা খাল অধিগ্রহণের প্রস্তাব করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনাগুলো আবারও অন্যান্য দেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী মনোভাবের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে এবং এ থেকে বোঝা যায় তারা অন্য দেশকে খাটো করে দেখে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিবর্তন ঘটলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী নীতিতে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। তারা আন্তর্জাতিক আইনের কোন তোয়াক্কা না করে বরং শুধুমাত্র তার নিজের লক্ষ্য এবং স্বার্থ রক্ষাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। বিশেষ করে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড এবং পানামার সার্বভৌমত্ব এবং ওই দেশগুলোর আঞ্চলিক অখণ্ডতার অধিকারের বিষয়টি উপেক্ষা করে ওই অঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে সংযুক্ত করতে চায়।
গ্রিনল্যান্ডের “পিটোফিক” বিমান ঘাঁটিটি মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে যোগাযোগের সবচেয়ে নিকটতম রুট হিসাবে বিবেচিত হয়।
২,১৬৬,০৮৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গ্রীনল্যান্ড বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ।
Leave a Reply