অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতির শোচনীয় অবস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন।গত বছরের তথা ২০২২ সালের মার্কিন মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কিত চীনের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে জনগণের প্রাথমিক ও মৌলিক মানবাধিকারকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
মার্কিন সমাজের বর্ণবাদ, অস্ত্রের সহিংসতা, পুলিশি নৃশংসতা ও সম্পদের অন্যায্য বণ্টনের মত সংকটগুলোর তীব্রতার প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়েছে চীনে ওই প্রতিবেদনে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথিত গণতন্ত্রেরও শোচনীয় অবস্থা তুলে ধরে এতে আরও বলা হয়েছে যে, দেশটির গণতন্ত্র জন-বিচ্ছিন্ন এবং মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেয়ার জন্য অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। মার্কিন জনগণ আইন প্রয়োগকারীদের নির্দয় হুমকির শিকার বলেও চীনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন সমাজের কৃষ্ণাঙ্গরাসহ সংখ্যালঘু অনেক গোষ্ঠীর মানবাধিকার ব্যাপক মাত্রায় লঙ্ঘন করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বায়ন বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক স্টিফেন ল্যান্ডম্যান বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক হওয়ার দাবি কেবল একটি শ্লোগান মাত্র। বাস্তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কারাগারের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এবং বিশ্বে মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘনকারী হল মার্কিন সরকার। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবলিও বুশ দেশটির সর্বোচ্চ নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নির্যাতনকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন এবং এর ফলে মুসলমানসহ জনগণের এক বড় অংশের মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়েছে ব্যাপক মাত্রায়।
ইরাক ও আফগানিস্তানের ওপর অবৈধভাবে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে সেখানে কয়েক মিলিয়ন সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে কথিত মানবাধিকারবাদী মার্কিন সরকার। এ ছাড়াও মার্কিন সরকার তার বিরোধী সরকার ও স্বাধীনচেতা দেশগুলোর ওপর একতরফা তথা অবৈধ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
চীনের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন সরকার এ পর্যন্ত কিউবা, সিরিয়া ও আফগানিস্তানসহ বিশ্বের বিশটিরও বেশি দেশের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞার অস্ত্র প্রয়োগ করেছে।বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন সরকার মানবাধিকার ইস্যুকে তার আধিপত্যকামিতার বিরোধী দেশগুলোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে মার্কিন সরকারের এই হাতিয়ার এখন আর কাজ করছে না। বিশ্বজনমত মানবাধিকারের ব্যাপারে মার্কিন সরকারের অভিযোগগুলোকে এখন আর বিশ্বাস করে না।
Leave a Reply