“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের মাঝে কেহ যদি নিজের দ্বীন হতে ফিরে যায়, মহান আলাহ তা’আলা আরো এমন লোক সৃষ্টি করবেন। যারা হবে মহান আলাহ তা’আলার প্রিয় এবং মহান আলাহ হবেন তাদের কাছে প্রিয়। যারা মু’মিনদের প্রতি নম্র ও বিনয়ী হবে এবং কাফিরদের প্রতি হবে অত্যন্ত কঠোর। (সূরা ঃ মায়িদাহ ঃ আয়াত ঃ ৫৪)
“হে মানুষ আমিই তোমাদের একজন পুরুষ ও একজন মহিলা হতে সৃষ্টি করেছি। এরপর তোমাদের জাতি ও গোষ্ঠী বানিয়ে দিয়েছি। যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। বস্তুত মহান আলাহ তা’আলার কাছে তোমাদের মাঝে সর্বাধিক সম্মানিত সে, যে তোমাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি মহান আলাহকে ভয় করে। নিঃসন্দেহে মহান আলাহ তা’আলা সব কিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত। (সূরা ঃ হুজুরাত ঃ আয়াত ঃ ১৩)
“কাজেই তোমরা তোমাদের আত্ম-পবিত্রতার দাবি করো না। প্রকৃত মুত্তাকী কে, তা তিনিই ভাল জানেন।” (সূরা ঃ নাজম ঃ আয়াত ঃ ৩২)
“এই আ’রাফের লোকজন দোযখের কয়েক জন বড় বড় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোকজনকে তাদের চিহ্ন দ্বারা চিনে ডেকে বলবে, দেখলে তো আজ না তোমাদের বাহিনী কোন কাজে আসল না। সেসব সাজ সরঞ্জাম যাকে তোমরা খুব বড় জিনিস বলে মনে করেছিলে? আর এ বেহেশতবাসীরা কি সে সব লোক নয়। যাদের সম্পর্কে তোমরা কসম করে বলতে এ লোকজন কে মহান আলাহ তা’আলা নিজের রহমত হতে কোন অংশই দান করবেন না। আজ তো তাদেরই বলা হলো। তোমরা বেহেশতে প্রবেশ কর। তোমাদের জন্য না ভয় আছে, না কোন মর্মবেদনা।” (সূরা ঃ আ’রাফ ঃ আয়াত ঃ ৪৮-৪৯)
১. হযরত ইয়াস ইবনে হিমার রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, মহান আলাহ তা’আলা আমার কাছে ওহী পাঠিয়েছেন। তোমরা একে অপরের সঙ্গে বিনয় নম্রতার আচরণ কর। যাতে কেহ কোরো উপর গৌরব না করে এবং একজন অন্যজনের উপর বাড়াবাড়ি না করে। (মুসলিম শরীফ)
২. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, দানের দ্বারা সম্পদ কমে না। ক্ষমার দ্বারা মহান আলাহ তা’আলা বান্দার ইজ্জাত ও সম্মান বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কিছু করেন না। আর যে একমাত্র মহান আলাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বিনয় ও নম্রতার নীতি অবলম্বন করে, মহান আলাহ তা’আলা তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। (মুসলিম শরীফ)
৩. হযরত আনাস রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম যখন খানা খেতেন, তিনি তখন আঙ্গুল চেটে খেতেন। হযরত আনাস রাদিয়ালাহু আনহু বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের যদি লোকমা পড়ে যায় তাহলে তার ময়লা পরিঙ্কার করে যেন সে তা খেয়ে নেয়। শয়তানের জন্য যেন রেখে না দেয়। তিনি পাত্র পরিস্কার করে খাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেছেন, কারণ তোমাদের জানা নেই। তোমাদের কোন খাবারে বরকত নিহিত আছে। (মুসলিম শরীফ)
Leave a Reply