অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চীনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো রাশিয়াকে সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করছে।
মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল গতকাল (শনিবার) এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।পত্রিকাটি দাবি করেছে, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে যাতে রাশিয়ার কাছে এই ধরনের সরঞ্জামাদি পৌঁছাতে না পারে তার জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ব্যাপক তৎপরতা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছে কয়েক হাজার চালান সফলতার সঙ্গে পৌঁছেছে।
রাশিয়ার শুল্ক বিভাগের তথ্য তুলে ধরে পত্রিকাটি বলেছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এই পর্যন্ত চীন হতে রাশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ও সরঞ্জামাদির ৮৪ হাজার শিপমেন্ট পাঠানো হয়েছে।এ সমস্ত প্রযুক্তি ও সরঞ্জামাদি সামরিক এবং বেসামরিক কাজে ব্যবহার করা যায়। এরমধ্যে রয়েছে নেভিগেশন কম্পিউটার, সেমিকন্ডাক্টর, বিমানের যন্ত্রাংশ এবং কমিউনিকেশনস জ্যামিং ইকুইপমেন্ট।আমেরিকা দফায় দফায় দাবি করে আসছে- রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, চীনের সেগুলো মেনে চলা উচিত। শুধু তাই নয়, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য চীনের কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে চীন সবসময়ই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের কথা অস্বীকার করে আসছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এই খবরকে সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ফুলিয়ে ফাফিয়ে তুলে ধরা বলে মন্তব্য করেছেন।অবশ্য, রাশিয়া ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করে নি। এছাড়া, রাশিয়া এবং চীনের বহু সংখ্যক কোম্পানি এই বিষয়ে পাঠানো মেসেজের কোনো জবাব দেয়নি। পত্রিকাটির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে- চীন থেকে রাশিয়ার কাছে যে সমস্ত সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে তার বেশিরভাগই তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এই দুটি দেশই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের রাজি হয়নি। চলতি সপ্তাহে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তুরস্ক সফর করেছেন।
Leave a Reply