অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধবিরতির ৫ম দিনে আরও ১২ জিম্মি এবং ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস তাদের আরও ১২ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং মুক্তির পর তারা গাজা ছেড়ে ইসরায়েলে এসে পৌঁছেছেন। এদের মধ্যে দুইজন থাই নাগরিক আছেন।
অন্যদিকে দেশটির কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, ইসরায়েল থেকেও ৩০জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে আরও ১৫০ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন যাদের বেশিরভাগই কিশোর এবং নারী।
উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি ৪৮ ঘণ্টা বাড়াতে একমত হওয়ার পর মঙ্গলবার ছিল হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাময়িক যুদ্ধবিরতির পঞ্চম দিন। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর এ পর্যন্ত গাজা থেকে মোট ৮১ জন জিম্মি মুক্তি পেয়ে ইসরায়েলে ফিরে গেছেন। এর মধ্যে ৬১ জন ইসরায়েলের নাগরিক এবং তারা সবাই নারী ও শিশু।
এদিকে চুক্তির আওতায় যেসব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে আগে পাথর ছোঁড়া থেকে শুরু করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পর্যন্ত আনা হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরেই পরস্পরের মধ্যে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় করছে ইসরায়েল ও হামাস। ইসরায়েলি সরকারের এক মুখপাত্র ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলমান জিম্মি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় যুদ্ধবিরতি আরও পাঁচদিন বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
গাজার অনেক মানুষ তাদের প্রিয়জনের সন্ধানের জন্য যুদ্ধবিরতির সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। হামাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় দেড় হাজার মানুষ গাজায় এখনো নিখোঁজ আছে এবং ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে মারা গেছেন প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি।
হামাস সীমান্ত অতিক্রম করে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় এবং এতে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়। সে সময় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে হামাস।
Leave a Reply