অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রতি বছর পবিত্র রমযান মাস কবে শুরু হবে তা জানতে অধীর আগ্রহে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। রমযানের শুরুটা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেদিন রোযা শুরু হয়, সাধারণত বাংলাদেশে হয় তার পরের দিন। ফলে ওইসব দেশে চাঁদ কবে দেখা যেতে পারে তা আগেভাগে জানতে আগ্রহ থাকে সবারই।
এ বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমযান মাস শুরু হতে পারে আগামী ২৩ মার্চ। রোযা হতে পারে ২৯টি। সেই হিসাবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২১ এপ্রিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ন্যাশনালকে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান বলেছেন, ‘আশা করা হচ্ছে, এ বছর পবিত্র রমযান মাস আগামী ২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার শুরু হবে এবং থাকবে ২৯ দিন। ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে ২১ এপ্রিল, শুক্রবার।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর বেশির ভাগ মুসলিম ও আরব দেশগুলোতে রমযান মাস একই দিন শুরু হতে পারে। তবে কিছু জায়গায় চাঁদ দেখতে পাওয়া কঠিন হলে মাসের শেষ দিন ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানান, এ বছর আমিরাতি রোযাদাররা দিনে প্রায় ১৪ ঘণ্টা পানাহার থেকে বিরত থাকবেন। তিনি বলেন, ‘রমযানের শুরুতে মানুষ ১৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট রোযা রাখবে। কিন্তু পবিত্র মাসের শেষের দিকে রোযা প্রায় ১৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট স্থায়ী হবে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাধারণত ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকে ২৯ রমজান থেকে ৩ শাওয়াল পর্যন্ত। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে এ বছর সেটি আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত থাকতে পারে।
এদিন শুধু রমযান ও ঈদুল ফিতরই নয়, ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিনক্ষণও জানিয়েছেন আমিরাতের অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।
তার মতে, এ বছর আরবি জ্বিলহজ্জ মাসের প্রথম দিন হতে পারে ১৯ জুন, সোমবার। সেক্ষেত্রে আরাফাতের দিন হবে ২৭ জুন এবং ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ২৮ জুন। সেই মোতাবেক, আমিরাতে কোরবানির ঈদের ছুটি থাকতে পারে ২৭ জুন থেকে ৩০ পর্যন্ত।
তবে রমযান ও ঈদের এসব দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত নয়। ঘটনার কাছাকাছি সময়ে সেটি নিশ্চিত করবে স্থানীয় চাঁদ দেখা কমিটি। গত বছর মধ্যপ্রাচ্যে রমযান মাস শুরু হয়েছিল ১ এপ্রিল।
আরবি ক্যালেন্ডারে নবম মাস রমযান। এসময় সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টিলাভের আশায় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে রোযা পালন করেন। রমজান শেষে শাওয়াল মাসের প্রথমদিন উদযাপিত হয় মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
আরবি মাসের শুরু ও শেষ সাধারণত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে আরবি মাসের শুরুর বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত পূর্বাভাস দেওয়া যায় না।
Leave a Reply