অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাঙ্গামাটি দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, চট্টগ্রাম এর সদর দপ্তরের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টায় কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের (৪১ বিজিবি) ওয়াগ্গাছড়া সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজিবির কার্যক্রমের সার্বিক বিষয়ে তুলে ধরেন ৪১ বিজিবি এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাওসার মেহেদী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার (ভারতের সঙ্গে ৪,১৫৬ ও মিয়ানমারের সঙ্গে ২৭১ কিলোমিটার) সীমান্তের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ৫৪০ কিলোমিটার নিয়ে বেষ্টিত। যা চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার অন্তর্গত আমতলী থেকে রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলার কচুতলী পর্যন্ত বিস্তৃত। বিজিবি দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নের আওতাধীন সর্বমোট ১৩টি ব্যাটালিয়ন সীমান্তের সুরক্ষা প্রদান করছে। একইসঙ্গে দূর্গম সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসরত সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, জীবনমান উন্নয়ন এবং সামাজিক কল্যাণে বিজিবি সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এ বিজিবি অধিনায়ক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, চট্টগ্রামের অধীনস্থ ইউনিট সমূহ আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করে চলতি বছরে ২৯ জন আসামিসহ ৫৮ লাখ ৭৯ হাজার ১৩৫ টাকার মাদক জব্দ করেছে। এছাড়া ২৭ কোটি ৭১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৪ টাকার অন্যান্য মালামালসহ সর্বমোট ২৮ কোটি ৩০ লক্ষ ২৮ হাজার ৮১৯ টাকার অধিক মূল্যের বিভিন্ন প্রকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি অধিনায়ক বলেন, চোরাকালীন সময়ে বিভিন্ন সময় বিজিবি কর্তৃক বিভিন্ন প্রকার কাঠ, বাঁশ, ভারতীয় থ্রি পিস, প্রসাধনী, সাবান, কীটনাশক, শুঁটকি, সিগারেট, নাপ্পি, রসুন, চিনি, জিরা, চা পাতা, স্যান্ডেল, নৌকাসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, চট্টগ্রাম এর আওতাধীন ইউনিট সমূহ বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কোনো অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান বন্ধে প্রত্যেক বিজিবি সদস্য বদ্ধ পরিকর। এছাড়া সাধারণ জনগণ যাতে অবৈধ অস্ত্র এবং সন্দেহজনক লোকজনের গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য বিজিবি’কে প্রদান করে সে ব্যাপারে সীমান্ত এলাকায় প্রতিনিয়ত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনসাধারণের উপস্থিতিতে জনসচেতনতামূলক সভার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কাপ্তাই ৪১ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ফারহাত, ক্যাপ্টেন আশরাফ, সহকারী পরিচালক উপেন্দ্র নাথ হালদার উপস্থিত ছিলেন।