মোঃ ফাহিমুল ইসলাম : বাংলাদেশ পুলিশের চৌকস পুলিশ অফিসার ফয়েজ উদ্দিন মৃধা মহেশপুর থানার ওসি হিসেবে যোগদান করার পর তার কঠোর পদক্ষেপে এলাকার অপরাধীরা যেমন একদিকে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ওসি ফয়েজ উদ্দিনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা রাতের ঘুম ত্যাগ করে রাতের প্রহরা জোরদার করায় মহেশপুর উপজেলার পৌনে ৪ লক্ষ মানুষ নিরাপদে শান্তিতে বসবাস করছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলাটি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় ইতিপূর্বে এ অঞ্চলটি চোরাচালানী ও সন্ত্রাসীদের আবাস ভূমি ছিল। মহেশপুরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ভারত থেকে আসতো অহরহ। সেই সাথে ছিল বাংলাদেশ থেকে ভারতে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা ও স্বর্ন পাচার।
গত ২১ অক্টোবর/২৪ তারিখে পুলিশ বিভাগের চৌকস পুলিশ অফিসার ফয়েজ উদ্দিন মৃধাকে মহেশপুর থানার ওসি হিসেবে নিয়োগ দিলে প্রথমেই তিনি ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় মহেশপুর থানার বিভিন্ন গ্রামে দায়ীত্বরত গ্রাম পুলিশদের সাথে মত বিনিময় করে আত্মহত্যা, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং, মানব পাচার, মাদক, জুয়া ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেআইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মহেশপুর থানার অন্যান্য অধস্তন পুলিশ অফিসার ও সিপাহীদের নিয়ে টিম মিটিং করে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের উপরে ঝাপিয়ে পড়েন।
এসময়ে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকসহ ও চোরাচালানীদের একের পর এক আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। এতে ফল আসতে থাকে খুব দ্রুত।
সন্ধ্যার পর সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীদের ভয়ে যে সব রাস্তায় চলাফেরা করতে সাহস পেতো না সে সব রাস্তায় ওসি নিজে উপস্থিত থেকে এবং অন্যান্য রাস্তায় পুলিশি টহল জোরদার করায় এলাকার সাধারণ মানুষ এখন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে।
এছাড়াও আদালতের দেওয়া ওয়ারেন্টের আসামী ও সাঁজাপ্রাপ্ত আসামীদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আটক হওয়ার ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী অত্র এলাকা প্রায় অপরাধী শুন্য হয়ে পড়েছে।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মহেশপুর-খালিশপুর ও মহেশপুর-ভৈরবা রাস্তায় সারারাত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাতের ঘুম ও নাওয়া-খাওয়া ত্যাগ করে ওসি ফয়েজ উদ্দিন ও অন্যান্য পুলিশ অফিসারসহ সদস্যরা যেভাবে ডিউটি করছেন তাতে আগে যেমন ঐ রাস্তা দুটিতে ঈদের আগে ছিনতাই হতো এবার আশা করা হচ্ছে তেমন আর হবে না।
তবে মহেশপুরের কাজীরবেড় ইউনিয়নের জীবননগর পাড়ায় জমিজমা নিয়ে সামান্য বিষয়ে ঈদকে সামনে রেখে একজন হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ায় অন্যন্যদের মতো ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধার মনটা খুবই খারাপ।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে তার শত চেষ্টার মধ্যে বিছিন্নভাবে ঘটে যাওয়া ঐ হত্যাকান্ডটি কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে মহেশপুর থানার বর্তমান ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধার কঠোর তৎপরতায় তারা খুবই খুশি।