অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এগারোতম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ আরোপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সব ঠিক থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই ইইউ এই প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান মুখপাত্র এরিক মামের জানিয়েছেন, শুক্রবারই কমিশন এ বিষয়ে একমত হয়েছে। তারপর আলোচনা শুরু হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। এরপর গত প্রায় দেড় বছরে ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি যেমন আছেন, তেমনই আছে একাধিক সংস্থা। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কার্যত বন্ধ করেছে ইইউ।
সবচেয়ে বড় কথা, রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে ইইউ। সংস্থাটি মনে করেছিল, এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর ফলে ক্রমশ রাশিয়ার অর্থনীতি চাপের মুখে পড়বে। ফলে যুদ্ধ বন্ধ করতে তারা বাধ্য হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তেমনটা হয়নি।
একটি রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালে রাশিয়ার অর্থনীতির খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। এর কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করলেও ইউরোপের জিনিস অন্য দেশের মাধ্যমে রাশিয়ায় পৌঁছাচ্ছে। ঠিক একই রকমভাবে রাশিয়ার জিনিস অন্য দেশের মধ্য দিয়ে ইউরোপে যাচ্ছে।
এদিকে এগারোতম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজে এই বিষয়টি চিহ্নিত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ, যে দেশগুলোর মাধ্যমে ইউরোপের জিনিস রাশিয়ায় পৌঁছাচ্ছে, সেই দেশগুলোকে চিহ্নিত করা হতে পারে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে সরাসরি এখনও কিছু জানানো হয়নি।
সূত্র জানাচ্ছে, আলোচনায় চীন, তুরস্ক, আরব আমিরাত ছাড়াও মধ্য এশিয়ার বেশ কিছু দেশের নাম উঠে এসেছে। ইইউয়ের বক্তব্য, শুধু বেসামরিক জিনিস নয়, তৃতীয় দেশের সাহায্যে রাশিয়া ইউরোপের সামরিক জিনিসও ব্যবহার করছে।
উদাহরণ, নাইট ভিশন গগলস। বেসামরিক কারণে ওই গগলস তৃতীয় দেশের হাত ধরে রাশিয়ায় পৌঁছাচ্ছে এবং রাশিয়ার সেনা তা ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইইউ সূত্র জানাচ্ছে, বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় সংস্থাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের হাত ধরে ইউরোপের জিনিস তৃতীয় দেশের হাত ধরে রাশিয়ায় পৌঁছাচ্ছে। তবে ওই সংস্থাগুলোর নামের তালিকা জানানো হয়নি।
Leave a Reply