অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতি ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নয়টি দেশের ৪০ জন ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই তালিকায় রাশিয়ার সরকারি অফিস, ইরানের সরকারি কর্মকর্তা এবং চীনের নাগরিকরাও রয়েছেন। রেডিও ফ্রি ইউরোপের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদিত ব্যক্তি ও সংস্থার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। এমনকি নিষেধাজ্ঞার ফলে কোনো মার্কিন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা রাখতে পারবে না।
আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ও মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। চীনের নাগরিক লি ঝেনু ও ঝুও জিনরং এবং তাদের সহযোগী পিংটান মেরিন এন্টারপ্রাইজ ও ডালিয়ান ওশান ফিশিং কোম্পানিসহ ১০টি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন এই দুই ব্যক্তি ও এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীন ভিত্তিক অবৈধ মাছের ব্যবসায় জড়িত থাকার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবৈধ মাছ ধরাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি অবৈধ মাছ ধরার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
তবে ওয়াশিংটনে চীন দূতাবাস তাদের মাছ ধরার প্রতিষ্ঠানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেনগিউ জানান, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের এখতিয়ার ওয়াশিংটনের নেই। এটি বিশ্বজুড়ে মার্কিন পুলিশের অভিযানের নজির।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ২০১৬ ও ২০২১ সালের মধ্যে চীনের তিব্বত অঞ্চলে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত দুই চীনের কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এদিকে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন গণভোট তদারকির দায়িত্বে ছিল।
ওয়াশিংটনের মতে, এটি করে প্রতিষ্ঠানটি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তাই সংগঠন ও এর ১৫ সদস্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইউক্রেনের নাগরিকদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়ান প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দুই রুশ নাগরিক ও অন্য চারজনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এদিকে চলমান বিক্ষোভ দমনের অভিযোগে ইরানের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও উত্তর কোরিয়ার স্টেট সিকিউরিটি বর্ডার গার্ড জেনারেল ব্যুরো, গিনির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডে এবং এল সালভাদর, ফিলিপাইন, মালি এবং গুয়াতেমালার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাস ও নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের মিশন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
Leave a Reply