এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ থেকে দূর্ণীতি নির্মূল করা হবে উল্লেখ করে দূর্ণীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) এবং ঝিনাইদহের সাবেক জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, দূর্ণীতির বিরুদ্ধে আমাদের রয়েছে জিরো টলারেন্স। দূর্ণীতিকে প্রতিহত করতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে অবশ্যই আমাদেরকে দূর্ণীতিকে না বলতে হবে। ‘ রুখবো দুর্নীতি গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
গত ১৬ মে সকাল নয়টায় ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দূর্ণীতি দমন কমিশন সমন্বিত ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয় এ গণশুনানীর আয়োজন করে। গণশুনানীতে সহযোগিতা করে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও জেলা দূর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটি।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (অনুসন্ধান ও অনুসন্ধান-২) এবং ঝিনাইদহের সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ জাকির হোসেন এবং দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মোঃ আক্তার হোসেন। এতে দুদকের খুলনা বিভাগের পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদ, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ, ঝিনাইদহ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ এন এম শাহ জালাল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক উপস্থাপন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, সুধীজনের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ অভিযোগকারীরাও উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানীতে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার, সেবা প্রত্যাশীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। গণশুনানিতে বিআরটিএ, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পৌর সভা, ইউনিয়ন পরিষদ, পাসপোর্ট অফিস, বিএডিসি, হাসপাতাল, ব্যাংক, পরিবেশ অধিদপ্তর, সেটেল্টমেন্ট অফিস সহ ঝিনাইদহের ২৬ টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ১১৩ টি অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২২টি সুনির্র্দিৃষ্ট অভিযোগ শুনানীর জন্য উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে দুটি প্রাথমিক অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এ সময় ২০ টি অভিযোগ তাৎক্ষনিকভাবে সমাধান করা হয়।
দুদকের কমিশনার তার বক্তব্যে আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সরকারী পরিেেসবা যে কোন মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সরকারী কর্মচারীদেও মধ্যে সততা,নিষ্ঠা,জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
Leave a Reply