অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিজয় দিবসে লক্ষ্মীপুরে জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদ করায় হোটেল শ্রমিকদের হামলায় ওমর ফারুক ও আরিফুর রহমান নামে দুই তহশিলদার আহত হয়েছেন।
আহত ওই দুই কর্মকর্তা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় জড়িত হোটেলের ৮ শ্রমিককে আটক করেছেন সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় মোহাম্মদিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। এতে হোটেলটি বন্ধ রয়েছে।
আহত ফারুক সদরের উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) ও আরিফুর রায়পুরের চরবংশী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা। তবে আটক হওয়া ৮ শ্রমিকের নাম জানা যায়নি। পুলিশও তাদের নাম-পরিচয় গোপন রেখেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে সব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। মোহাম্মদীয়া হোটেল কর্তৃপক্ষ পতাকা উত্তোলন করে। তহশিলদার ফারুক সকালে হোটেলে নাশতা করতে এসে পতাকা এলোমেলো দেখেন। বিষয়টি নিয়ে হোটেলের ম্যানেজার রাকিবের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রাকিবকে চড়-থাপ্পড় দেন তিনি। এটি দেখে হোটেলের শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুককে মারধর শুরু করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে তহশিলদার আরিফুরও মারধরের শিকার হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে হোটেল কর্তপক্ষ এখনও মুখ খোলেনি।
আহত ওমর ফারুক বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসে মোহাম্মদিয়া হোটেল কর্তৃপক্ষ পতাকার অবমাননা করেছে। এতে প্রতিবাদ করায় হোটেলের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমি এ ঘটনায় মামলা করবো।’
সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই ওলি উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে। তারা থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লক্ষ্মীপুরের ইউএনও আরিফুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি ফৌজদারী অপরাধ। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা নিতে সদর থানাকে জানানো হয়েছে।’
Leave a Reply